হোম অর্থ ও বাণিজ্য গ্র্যাচুইটির টাকা দিতে পারছে না চিনি শিল্প করপোরেশন

গ্র্যাচুইটির টাকা দিতে পারছে না চিনি শিল্প করপোরেশন

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 152 ভিউজ

বাণিজ্য ডেস্ক:

চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশন থেকে অবসরে যাওয়া হাজার হাজার শ্রমিক-কর্মচারী ৯ বছরেও তাদের গ্র্যাচুইটি বাবদ পাওনা পাননি। ফলে একে একে সরকারের কাছে এই পাওনাদারের সংখ্যা বেড়ে বর্তমানে দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৪৭৩ জনে আর মোট পাওনা হয়েছে ৪৩০ কোটি টাকা।

বুধবার (৭ জুন) বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের নিচে নিজের পাওনা টাকার জন্য মানববন্ধন করেন প্রতিষ্ঠানের অবসরে যাওয়া কর্মীরা। কারও চাকরিজীবন শেষ হয়েছে ২০১৪ সালের মাঝামাঝি কারও বা সম্প্রতি। তবে তারা কেউই তাদের গ্রাচুইটি বাবদ ন্যায্য পাওনা পাননি।

একে একে সরকারের কাছে এই পাওনাদারের সংখ্যা বেড়ে বর্তমানে দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৪৭৩ জনে। আর মোট পাওনার পরিমাণ হয়েছে ৪৩০ কোটি টাকা।

মানববন্ধনে এক অবসরপ্রাপ্ত কর্মী বলেন, সরকারের কাছে আমাদের পাওনা প্রায় সাড়ে ৭ হাজার কোটি টাকা। এই টাকা থেকে আমাদের ৪৩০ কোটি টাকা দিয়ে দিলে আমরা বেঁচে যাই।

এ সময়ে চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের সাবেক সচিব মিজানুর রহমান বলেন, আমাদের অনেকেই মানবেতর জীবনযাপন করছে। আবার অনেকে পাওনা বুঝে পাওয়ার আগেই মারা গেছে। কাজেই আমরা চাই যে কোনো মূল্যে হোক সরকার আমাদের এ পাওনা টাকা পরিশোধ করুক।

এদিকে ফেলে আসা সোনালীযুগ হাতড়ে বেড়ানো প্রতিষ্ঠান চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের চেয়ারম্যান মো. আরিফুর রহমান অপু জানালেন, গ্রাইচুটি পরিশোধের চেষ্টা করা হচ্ছে কিন্তু বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে লোকসানি বাস্তবতা। সেই সঙ্গে মিলছে না কোনো বরাদ্দ।

তিনি আরও বলেন, এটি বেশ দুঃখজনক যে আর্থিক কারণে আমরা এটি দিতে পারছি না। পাওনার পরিমাণ প্রায় সাড়ে চারশো কোটি টাকার মতো।

তবে বুধবার (৭ জুন) সকালে পাওনাদারদের লেখা স্মারকলিপি হাতে পেয়ে ন্যায্য পাওনা দ্রুত পরিশোধের আশ্বাস দেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন। তিনি বলেন, ‘আমি এ বিষয়ে জানি। আমি চেষ্টা করছি। আশা করি, শিগগিরই একটি সমাধান আসবে।’

প্রসঙ্গত, শ্রমিক-কর্মচারীরা চান, ঊর্ধ্বমুখী উচ্চমূল্যের নিত্যপণ্যের বাজারে- ঈদের আগেই যেন তাদের পাওনা বুঝে দেয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন