হোম অন্যান্যসারাদেশ আগ্রাসী খোলপেটুয়া নদীর কবলে পড়ে ধ্বংসের মুখে পূর্ব দূর্গাবাটী ও পশ্চিম দুর্গাবাটী

আগ্রাসী খোলপেটুয়া নদীর কবলে পড়ে ধ্বংসের মুখে পূর্ব দূর্গাবাটী ও পশ্চিম দুর্গাবাটী

কর্তৃক
০ মন্তব্য 236 ভিউজ

বুড়িগোয়ালিনী প্রতিনিধি :

সবুজে ঘেরা সুন্দরবনের কোলঘেঁষা শ্যামনগর উপজেলার ৯ নম্বর বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের পশ্চিম দূর্গাবাটী ও পূর্বদুর্গা বাটীর কথাই বলছি। একসময়ের সুখ ছন্দে ভরা ছিল এই দুই গ্রাম। তবে বর্তমানে আগ্রাসী খোলপেটুয়া নদী এই দুই গ্রামের মানুষকে নিঃস্ব করে ফেলেছে। পশ্চিম দুর্গাবাটী নিয়ে কথা বলছিলেন রপ্তান বাড়ী জনৈক ব্যক্তি, তিনি বলছিলেন সকলের সম্পত্তি সব নিঃস্ব করে মাথাগোঁজার ঠাঁই টুকু কেড়ে নিয়েছে এই সর্বনাশী খোলপেটুয়া নদী, তবুও আমরা কিছু কিছু মানুষ এখানে ছিলাম তবে বর্তমানে যে অবস্থা হয়েছে তাতে আমাদের দেশ ছাড়তে হবে।

তিনি আরও বলছিলেন এইযে ভাঙ্গন টা দেখছেন এখানে ৭০ ফিট পানি আছে, এখান থেকে বেশ কিছু দূরে দেখুন ৩০ ফুট পানি আছে তবে কি বর্তমান ডিজিটাল যুগে, ডিজিটাল চিন্তা-চেতনায় বর্তমান সরকার দীর্ঘমেয়াদী আমাদের কি রক্ষা করতে পারেন না এই নদী ভাঙ্গন রোধ করে?গত ১২/০৩/২০২০ খোলপেটুয়া নদীর ভেরিবাধে যে ফাটল সৃষ্টি হয়েছে এই ফাটল দিয়ে যদি একবার ভিতরে লোনা পানি প্রবেশ করে তাহলে বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের ৪,৫,৬,৭,৮ ওয়ার্ড প্লাবিত হবে নিঃসন্দেহে পানি উন্নয়ন বোর্ড শুধুমাত্র মাপ জরিপ করে চলেছেন তবে স্থানীয় সরকারের প্রধান চেয়ারম্যান ভবতোষ কুমার মন্ডল আজ চার বছর ধরে তার পরিষদবর্গ দের নিয়ে ভাঙ্গন রোধ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

কিন্তু ভাগ্যের কি পরিহাস বর্তমানে খোলপেটুয়া নদী তে যে ফাটল সৃষ্টি হয়েছে মনে হয় তা রক্ষা করার নয়। সারা বিশ্ব যখন অসহায় মানুষদের নিয়ে চিন্তা করছেন তখন বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের মানুষের এই অসহায় হাহাকার কান্না কেন শুনতে পারছেন না? সরজমিনে গিয়ে জানতে পারলাম লোনা পানি ভিতরে না ঢুকলে নাকি পানি উন্নয়ন বোডে বাজেট হয় না ভেড়িবাধের এটা কি সম্ভব? তবে কি অসহায় মানুষের ভাগ্য নিয়ে খেলা করা হচ্ছে? তবে কিছু কিছু সচেতনমহল বলছেন যেখান থেকে লোনা পানি ভিতরে প্রবেশ করে চিংড়ি মাছের চাষ করা হচ্ছে সেখান থেকে নাকি নদী ভাঙ্গন বৃদ্ধি পেয়েছে।

কারণ ভেতরের লোনাপানি ভরাট থাকলে ভাটা নদীতে ভেতরের পানি চোয়াচে থাকে আর এই ভাবে চোয়াতে
চোয়াতে নদী ভাঙ্গন সৃষ্টি হচ্ছে। তবে কি এই এলাকা থেকে চিংড়ি চাষ উঠিয়ে দেওয়া ভালো?
হ্যাঁ এখন থেকে ৩০ বছর আগের কথা বলছি এই খোলপটুয়া নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে পূর্বদুর্গাবাটী ও পশ্চিমা দূর্গাবাটীর ৩ হাজার একর বিঘা চাষের জমি তবে একবার ভাবুন এই এলাকার মানুষের ভাগ্যের দূর্দশা সারা বিশ্ব যখন আধুনিকায়ন করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন তখন কেন বঞ্চিত হবে এই বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের এই দুই গ্রামের বাসিন্দারা।

এই নদী ভাঙ্গন নিয়ে বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বাবু ভবতোষ কুমার মন্ডল এর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি আমাদের শ্যামনগর উপজেলার এমপি মহোদয় কে সঙ্গে নিয়ে, আপনারা জানেন যে আমাদের এমপি এস এম জগলুল হায়দার মহোদয় অসহায় মানুষদের নিয়ে সব সময় কাজ করে চলেছেন উনি আমাদেরকে আশ্বস্ত করেছেন বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের ভাঙ্গন রোধ করতে যা যা করণীয় তিনি তাই করবেন।

তবে স্থানীয় জনসাধারণের একটাই দাবি মানবতার জননী বাংলাদেশের সফল প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে যাতে আমরা উপকূলবাসী আমাদের সময় সম্পত্তি নিয়ে বসবাস করতে পারি সেইদিকে সুদৃষ্টি রাখার জন্য।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন