হোম অন্যান্যসারাদেশ টাকার জন্য যৌতুকের বলি হল ফজিলা খাতুন

টাকার জন্য যৌতুকের বলি হল ফজিলা খাতুন

কর্তৃক
০ মন্তব্য 285 ভিউজ

নিজস্ব প্রতিবেদক :

মাত্র ষাট (৬০) হাজার টাকার জন্য যৌতুকের বলি হল ফজিলা খাতুন (১৮) নামের এক গৃহবধূ। বৃহস্পতিবার ১২ মার্চ সকাল ১০টায় পাইকগাছার থানার ফতেপুর গ্রামে নিহতের শ^শুর বাড়ির শোয়ার ঘরে ঝুলন্ত অবস্থায় তার মরদেহ পাওয়া যায়। সে সাতক্ষীরা সদরের চর বালিথা গ্রামের ফজলুর রহমানের কন্যা। ফজলুর রহমান পেশায় এক জন ভেন চালক। তিনি জানান ৫ মাস আগে পাইকগাছার ফতেপুর গ্রামের নিয়াজউদ্দিন এর ছেলে মোসলেম(২৫) এর সাথে পারিবারিক ভাবে বিয়ে দেন তার কন্যার।

বিয়ের পর থেকে মেয়ে জামাই ও শ^শুর বাড়ির মানুষ জন বিভিন্ন ভাবে তার মেয়ে উপর যৌতুকের একটি মটর সাইকেল এর জন্য চাপ দিতে থাকে। কিন্তু আমি আমার সামর্থ্য না থাকায় আমি তাকে টাকা দিতে পারিনি। উল্লেখ্য গত কিছু দিন আগে থেকে ষাট হাজার(৬০০০০/=) টাকার জন্য তারা আমার মেয়েকে নানা ভাবে শারীরিক ও মানুষিক ভাবে নির্যাতন দিতে থাকে। গত ১১ ই মার্চ আনুমানিক রাত্র ১০টায় তার মেয়ে তাকে ফোন করে বলে টাকা না দিলে এরা আমাকে মেরে ফেলবে আমাকে বাচাতে চাইলে দ্রুত বাড়ি নিয়ে যাও।

আমি আজ অর্থাৎ ১২ই মার্চ তাকে আমার বাড়িতে নিয়ে আসব বলে আশ^স্ত করেছিলাম। কিন্তু ১২ই মার্চ সকাল আনুমানিক ৯.৫৫মিনিটে আমার কাছে খবর আসে আমার মেয়ে নাকি আত্মহত্যা করেছে। ঘটনা শোনা মাত্র আমরা সেখানে যেয়ে দেখি আমার মেয়ের লাশ নীচে পড়ে আছে। কথাগুলো বলতে বলতে ডুকরে ডুকরে কাঁদছিলেন তিনি। তিনি বলেন আমার মেয়ের পিঠের মাঝ বরাবর ও বাম হাতের কনুইয়ে আমার স্ত্রী আঘাতের ফলে হওয়া কাল সিরের দাগ দেখেছে। তাছাড়া তার গলায় কোন দাগ আমরা দেখিনি।

এ বিষয়ে জানতে নিহতের স্বামী মোসলেমের ব্যক্তিগত মোবাইলে তিনি বলেন আমার নামে যে অভিযোগ করা হচ্ছে তা সত্য না। আমার সাথে আজ সকালে কথা কাটাকাটি হয়। আমি তার সাথে আমার শ^শুর বাড়িতে যেতে না চাওয়ায় সে অভিমান করে আত্মহত্যা করেছে। এদিকে পাইকগাছা থানার ওসি ইমদাদুল হক বলেন, আমরা ঘটনা শোনা মাত্র সেখানে যাই। বর্তমানে মৃত গৃহবধূর লাশ থানা হেফাযোতে আছে। আগামী কালকে তার ময়না তদন্তের কাজ সম্পাদন করা হবে। এই বিষয়ে পাইকগাছা থানায় একটি মামলা হয়েছে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন