হোম রংপুরগাইবান্ধা অভাবের তাড়নায় ভালোবাসা দিবসে সন্তানকে দত্তক!

অভাবের তাড়নায় ভালোবাসা দিবসে সন্তানকে দত্তক!

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 127 ভিউজ

অনলাইন ডেস্ক:

গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে অভাবের তাড়নায় ভরণপোষণ দিতে না পেরে সদ্য ভূমিষ্ঠ হওয়া সন্তান দত্তক দিয়েছেন এক দম্পতি।

বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে পলাশবাড়ী উপজেলার বরিশাল ইউনিয়নের ভবানীপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এর আগে ১২ ফেব্রুয়ারি এফিডেফিটের এর মাধ্যমে দত্তক চুক্তিপত্র করেন ওই দম্পতি।

জানা যায়, ভবানীপুর গ্রামের মৃত নয়ন চন্দ্র বিশ্বাসের ছেলে হেরেন চন্দ্র বিশ্বাস পেশায় একজন কর্মকার। প্রায় ২৩ বছর আগে ঝুম্পাকে বিয়ে করেন তিনি। অভাবের সংসারে রনি, নিরঞ্জন, রাবিন্দ্র ও জয়দেব নামে ৪টি ছেলে সন্তানের জন্ম হয়। এরই মধ্যে আবারও সন্তান সম্ভবা হয়ে পড়েন ঝুম্পা। পরিবারের ভরণপোষণের ব্যবস্থা না থাকায় এবরশন সিদ্ধান্ত নেন তারা। বিষয়টি জানতে পেরে গ্রামের একজনের মধ্যস্থতায় নাটোর জেলার গুরুদাসপুর উপজেলার গুরুদাসপুর গ্রামের সুবীর কুমার ও টপি রানী দম্পতিকে ভূমিষ্ঠ হওয়া সন্তান দিবেন এমন মৌখিক চুক্তি হয়। গর্ভের ৪ মাস থেকেই ঝুম্পার দেখাশোনাসহ চিকিৎসা ও অন্যান্য খরচ বহন করে আসছিল ওই দম্পতি।

গত মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে আবারও তার স্ত্রী ঝুম্পা পঞ্চমবারের মত একটি ছেলে সন্তান প্রসব করেন। এর আগে সোমবার এফিডেফিটের মাধ্যমে ওই দুই দম্পতি তাদের সন্তান দত্তক দেয়ার চুক্তি করেন এবং ১৪ ফেব্রুয়ারি রাতে তাদের সন্তানকে সুবীর-টপি দম্পতির হাতে তুলে দেন।

সন্তানের বাবা হেরেন চন্দ্র বলেন, ‘সংসারে অভাব কারণে সন্তানকে দত্তক দিয়েছি। আগের ৪টি ছেলে রয়েছে মোট ৬ জনের সংসার।’

দত্তক দেয়ার মধ্যস্থকারী প্রান্ত জানান, গর্ভে চার মাস থাকাকালে সংসারে অভাবের কারণে তারা সন্তান নষ্ট করতে চায়। পরে তার নিকট আত্মীয় নিঃসন্তান দম্পতির সঙ্গে তাদের সাক্ষাৎ করিয়ে দেন তিনি। সন্তানটি ভালো থাকবে এ আশায় তাদের কাছে দত্তক দিয়েছে পরিবারটি।

পলাশবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুল হাসান জানান, এমন ঘটনা তাদের নজরে আসেনি। এ ঘটনায় কোনো অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন