অনলাইন ডেস্ক:
নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলীর বাড়িতে ছাত্র-জনতা ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করার সময় তাঁদের ওপর গুলি চালানো হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে পৌরসভার ওছখালী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এর আগে, রাত ১১টার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধিসহ মানুষজন ওছখালী বাজারে জড়ো হন। সেখান থেকে একটি মিছিল নিয়ে তাঁরা মোহাম্মদ আলীর বাড়ির দিকে রওনা দেন। তাঁরা ভাঙচুরের জন্য এগিয়ে আসতে চাইলে স্থানীয় বাসিন্দা ও সমর্থকরা জড়ো হয়ে প্রতিবাদ জানান। এ সময় সেখানে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যদের অভিযোগ, মোহাম্মদ আলীর বাড়ি থেকে তাঁদের লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করা হয়েছে।
অন্যদিকে মোহাম্মদ আলীর অনুসারীদের অভিযোগ, হাতিয়ার ওছখালীর দক্ষিণ ও উত্তর দিকে মোহাম্মদ আলীর দুটি বাড়িতে একদল লোক দফায় দফায় হামলা-অগ্নিসংযোগ করার চেষ্টা করেন। এ সময় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার এক পর্যায়ে রাত ২টার দিকে দুটি বাড়িতে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন তাঁরা। পরে আফাজিয়া ঘাটে মোহাম্মদ আলীর ছয়টি ষ্পিডবোট ও চারটি ট্রলার আগুনে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজমল হুদা বলেন, বিক্ষুদ্ধ ছাত্র-জনতা সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলীর দুটি বাড়িতে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ করে এবং ঘাটে ছয়টি ষ্পিডবোট ও চারটি ট্রলারে অগ্নিসংযোগ করে। এ সময় দুই পক্ষের সংঘর্ষে তিনজন আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে একজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়ছে। বাকি দুইজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
জানা যায়, গত বছরের ১০ আগস্ট রাত ৩টার দিকে উপজেলার ওছখালীর নিজ বাসভবন থেকে মোহাম্মদ আলী, তাঁর স্ত্রী সাবেক এমপি আয়েশা ফেরদাউস ও তাঁদের বড় ছেলে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আশিক আলী অমিকে হেফাজতে নেয় নৌবাহিনী। তারপর ১২ আগস্ট থেকে স্ত্রী-ছেলেসহ কারাগারে আছেন হাতিয়ার সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলী।