দেশে আবারও বাড়তে শুরু করেছে করোনা সংক্রমণ। সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন আরও ৬৮ জন। যা সাড়ে ছয় মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ।
হস্পতিবার (২৫ মে) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, সবশেষ গত বছরের ১০ নভেম্বর ৬৯ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছিল, তার পরের মাসগুলোতে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা কমতে শুরু করে। চলতি মে মাসের শুরু থেকে তা আবার বাড়তে শুরু করেছে।
বিজ্ঞপ্তি বলা হয়, সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ২৯৪ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। আগের নমুনা মিলিয়ে পরীক্ষা করা হয় ১ হাজার ২৯৬ জনের নমুনা। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৫ দশমিক ২৫ শতাংশ। মহামারির শুরু থেকে এখন পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ২৩ শতাংশ। নতুন রোগী মিলিয়ে মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ৩৮ হাজার ৮০৯ জনে। তবে এ সময় করোনায় কারও মৃত্যু হয়নি। ফলে মোট মৃত্যু ২৯ হাজার ৪৪৬ জনেই অপরিবর্তিত রয়েছে।
এর আগে বুধবার (২৪ মে) সারা দেশে ৩৩ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়।
দেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়ে ২০২০ সালের ৮ মার্চ। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর একই বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর খবর দেয় স্বাস্থ্য অধিদফতর। সেই বছর সর্বোচ্চ মৃত্যু হয়েছিল ৬৪ জনের।
পরবর্তী সময়ে করোনার ডেলটা ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ায় গত বছর জুন থেকে রোগীর সংখ্যা হু হু করে বাড়তে থাকে। ২৮ জুলাই একদিনে সর্বোচ্চ ১৬ হাজার ২৩০ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছিল।
২০২১ সালের ৭ জুলাই প্রথমবারের মতো দেশে করোনায় মৃত্যু ২০০ ছাড়িয়ে যায়। এরমধ্যে ৫ ও ১০ আগস্ট সর্বোচ্চ ২৬৪ জন করে মৃত্যু হয়। এরপর গত ১৩ আগস্ট মৃতের সংখ্যা ২০০ এর নিচে নামা শুরু করে। দীর্ঘদিন শতাধিক থাকার পর ২৮ আগস্ট মৃত্যু ১০০-এর নিচে নেমে আসে। ডেলটার পর করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন আঘাত হানে।