নিজস্ব প্রতিনিধি:
সাতক্ষীরায় ডাকাতি হওয়া ট্রাক উদ্ধারসহ আসামী গ্রেপ্তার হওয়ার পরও চালক ও হেলপারকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানি হুমকির অভিযোগ উঠেছে ট্রাক মালিকের বিরুদ্ধে। এবিষয়ে প্রতিকার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী ট্রাক চালক। রোববার দুপুরে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এ অভিযোগ তুলে ধরেন, বুধহাটা ইউনিয়নের আবু বাক্কারের পুত্র আছাদ আলী।
তিনি বলেন, সাতক্ষীরা শহরের মুনজিতপুর এলাকার আরশাদ আলীর পুত্র ইকবাল হোসেনের ট্রাক যার নং- সাতক্ষীরা-ট-১১-০৪২৩ দীর্ঘদিন ধরে দেশের বিভিন্ন স্থানে ভাড়া চালিয়ে আসছিলাম। গত ১১ মে-২০২৫ তারিখে ঢাকা থেকে সয়াবিন তেল নিয়ে খুলনার উদ্দেশ্যে আসার পথে রাত ১টার সময় গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী থানার বরাশুর এলাকায় ডাকাতের কবলে পড়ি। এসময় ডাকাতরা আমাকে এবং হেলপারকে গাছের সাথে বেঁধে ট্রাক ছিনতাই করে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে পুলিশ আমাদের আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করে। জেল থেকে গত ৩ জুন-২০২৫ তারিখে জামিনে মুক্ত হয়ে বাড়ি ফিরে আসি। এঘটনায় ট্রাকের মালিক ইকবাল হোসেন বাদী হয়ে গোপালগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করে। পরবর্তীতে মামলাটি পুলিশ বাদী হয়। ঘটনার পর ১৪ মে মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ ট্রাকটি উদ্ধার করে। এছাড়া ওই ডাকাতদলের তিন সদস্যকে আটক করে এবং তেলও উদ্ধার করে। এতে প্রমানিত হয় যে ওই ঘটনার সাথে আমি এবং হেলপার আশিক ইসলাম কোন ভাবেই জড়িত নই। আমরা শুধুমাত্র চক্রান্তের শিকার। জেল খেটে বাড়ি আসার পর আমার বিশেষ টাকার প্রয়োজন হওয়ায় বাড়িতে থাকা গরু নিয়ে গত ৫ জুন-২০২৫ তারিখে সদরের ব্রহ্মরাজপুর গরুর হাটে আসি। সেখানে ট্রাক মালিক ইকবাল হোসেন ও তার পুত্র রিয়াদ হোসেন আমাকে একা পেয়ে অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ করতে থাকে এবং মারপিট করতে উদ্যত হয়। এছাড়া আমাকে আর অন্যকোন ট্রাক চালাতে দেবে না মর্মে হুমকি ধামকি প্রদর্শন করে বলে, ডাকাতের কবলে পড়ে ট্রাকসহ আমাদের যত ক্ষতি হয়েছে, সবই পরিশোধ করবি। তা না হলে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানি ও খুনজখমসহ বিভিন্ন হুমকি প্রদর্শন করে। এঘটনায় আমি সদর থানায় একটি সাধারন ডায়েরি করি। যার নং-২৩৪। এছাড়াও বিভিন্নভাবে হুমকি ধামকি অব্যাহত রেখেছে। তিনি এসময় ট্রাক মালিক ইকবাল এবং তারপুত্র রিয়াদ হোসেনের চক্রান্তের হাত থেকে রক্ষা পেতে এবং নিজেদের নিরাপত্তার দাবিতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এ ব্যাপারে ট্রাক মালিক ইকবাল হোসেন জানান, আমি আমার ট্রাক চালকের কাছে ৩৫ হাজার ৫০০ টাকা পাবো। সে আমার পাওনা টাকা না দিয়ে উল্টো আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ ছড়াচ্ছে।