নিজস্ব প্রতিনিধি :
সাতক্ষীরার আশাশুনির নাকনায় আদালত কর্তৃক আসামীরা জামিন নেয়ার পর মামলা তুলে নিতে প্রকাশ্যে বাদীকে হত্যাসহ বিভিন্ন হুমকি দেয়ার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে উক্ত সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন, উপজেলার নাকনা গ্রামের মৃত কাজী বাহা উদ্দীনের ছেলে আজিজুর রহমান। তিনি তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, বসতবাড়ীর জমি জায়গা নিয়ে একই এলাকার মৃত. কাজী নুরুল ইসলামের ছেলে কাজী শহিদুল ইসলাম গং এর সাথে বিরোধ থাকায় তারা দীর্ঘদিন ধরে আমাদের হয়রানি করে আসছিল।
এ ঘটনায় আমার বোন রিজিয়া খাতুন আশাশুনি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। এরই জেরে গত ৬ এপ্রিল উল্লেখিত কাজী শহিদুল ইসলামের ছেলে কাজী বায়েজিদ হোসেনের নেতৃত্বে কাজী রাজু, কাজী রায়হান, কাজী মর্শিদ আলম, রুপিয়া খাতুন, কাজী শহিদুল ইসলামের স্ত্রী শামিমা পারভীন সামু গংরা দেশীয় অস্ত্র সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আমাদের বাড়ীতে প্রবেশ করে আমাদের সম্পত্তির উত্তর সীমানায় ঘেড়াবেড়া দিতে থাকলে আমি ও আমার বোন রিজিয়া খাতুন বাধা এতে বাধা দিতে গেলে তারা আমাদের উপর হামলা চালায়।
এ সময় তারা আমার বোনের মাথায় ও হাতে কুপিয়ে গুরতর আহত করে এবং আমার মাথায় বাঁশ দিয়ে আঘাত করার পর তারা ধারালো দা দিয়ে আমাকে কোপ মারতে গেলে আমি বাম হাত দিয়ে ঠেকাতে গেলে আমার হাতের কনিষ্ঠ আঙ্গুল কেটে যায়। এছাড়া তারা আমার বোনকে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করে এবং আমার বোনের স্বর্ণের চেইন ও কানের দুল ছিনিয়ে নেয়। এ সময় আমাদের ডাক চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এসে তাদের কাছ থেকে আমার বোনকে উদ্ধার করে।
এঘটনায় আমি বাদী হয়ে আশাশুনি থানায় একটি মামলা দায়ের করি। মামলা নং-০৮, তাং- ১১-০৪-২০২১। এ মামলায় ৭ আসামীর মধ্যে ৩ জন গ্রেফতার হওয়ার পর জেলে যায়। এরপর উক্ত আসামীরা আদালত থেকে জামিন নিয়ে এলাকায় ফিরে আমাদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে এবং মামলা তুলে নেওয়ার জন্য খুন জখমসহ বিভিন্ন হুমকি ধামকি প্রদর্শন করতে থাকে। একপর্যায়ে উল্লেখিত আসামীরা স্থানীয় প্রতাপনগর ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেনের ইন্ধনে তার সহযোগী শেখ মিজানুর রহমান মিরাজ, শেখ আল ইমাম, রউফ, মনিরুল, ছোটোর নেতৃত্বে রাতে আমাদের বসতবাড়ীর চালে ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও হত্যার হুমকিসহ নানানভাবে হয়রানি করে যাচ্ছে।
তাদের অত্যাচারে আমরা বর্তমানে অতিষ্ট হয়ে পড়েছি। এ ঘটনায় আমি আশাশুনি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করি। উক্ত বিষয় নিয়ে চেয়ারম্যান জাকিরের কাছে ন্যায় বিচারের দাবি জানালে তিনি আমাদের দুর দুর করে তাড়িয়ে দিয়ে অপমান করেন। অথচ উক্ত সম্পত্তি আমাদের পৈত্রিক ও ক্রয়কৃত। আসামীরা আমাদের সম্পত্তির দখল না দিয়ে জোরপূর্বক তা দখল করে রেখেছেন। সংবাদ সম্মেলন থেকে তিনি (আজিজুর রহমান) এ সময় তাদের জীবনের নিরাপত্তা ও বাড়িতে ইটপাটকেল নিক্ষেপ বন্ধসহ জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।