অনলাইন ডেস্ক:
গাজীপুরে শ্রীপুরে স্কুলের বিভিন্ন বিষয়ে হিসাব চাওয়ায় শিক্ষক নেতা ও ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি মাহমুদুল হাসানের বসতবাড়ি লক্ষ্য করে গুলির ঘটনা ঘটেছে। তারা শিক্ষকের শয়নকক্ষের পশ্চিম পাশের জানালা লক্ষ্য করে তিনটি গুলি করে। গুলি লেগে জানালার দুইটি গ্লাস ফুটো হয়ে যায়। মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) দিবাগত রাত ১টার দিকে বরমী পাঠানটেক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
মাহমুদুল হাসান বরমী বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক এবং ওই এলাকার তালেম হোসেনের ছেলে। তিনি বরমী ইউনিয়ন বিএনপি সহ-সভাপতি এবং গাজীপুর জেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির কোষাধ্যক্ষ। এ ঘটনায় একই এলাকার আমীন মীরের ছেলে সৈকত মীর, নুরুল ইসলামের ছেলে শরীফ ও তাদের অজ্ঞাত সহযোগীদেরকে অভিযুক্ত করে শ্রীপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
বিএনপি নেতা ও শিক্ষক মাহমুদুল হাসান দাবি করেন, সৈকত মীর বরমী বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য। স্কুলের কার্যক্রমে দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন। সোমবার (৪ নভেম্বর) এসব বিষয়ে তার কাছে জানতে চাইলে স্কুলের ভেতরেই তাকে হুমকি দেন। ওই দিনই স্কুলের জলপাই গাছের নিচে (জলপাইতলা) বাড়াবাড়ির না করার কথা বলে আমাকে শুট করে মেরে ফেলার হুমকি দেন। আগেও স্কুলের বিভিন্ন বিষয়ে সৈকত মীরের সঙ্গে তিনবার বাগবিতণ্ডা হলে তাকে হত্যার হুমকি দিয়েছেন। বরমী ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি আফাজ প্রধানকে এসব ঘটনা জানিয়েছি। রাতে হঠাৎ তিনটি গুলি জানালার গ্লাস ফুটো হয়ে ঘরের দেয়ালে ঢুকে পড়ে। গুলির ঘটনার পর আতঙ্কে ওই রাত ঘুমাতে পারিনি।’
এই বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত সৈকত মীরের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দিলেও বন্ধ পাওয়ায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
বরমী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আফাজ প্রধান বলেন, ‘সকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মাহমুদুল হাসানের বাড়িতে গুলির বিষয়ে জানতে পারি। পরে সকালে ওই নেতার বাড়িতে গিয়ে পুলিশ দেখতে পাই। তবে কারা কেন গুলি করেছে এ বিষয়ে কিছু বলতে পারবো না।’
শ্রীপুর থানার ওসি জয়নাল আবেদীন মন্ডল বলেন, ‘খবর পেয়ে সকালেই পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। গুলির ঘটনায় একটি অভিযোগ পেয়েছি।’