হোম অন্যান্যসারাদেশ শার্শা অগ্রভুলোটে জনরোষের শিকার হয়ে সাজানো নাটকের আটককৃতকে ছাড়তে বাধ্য হলো এএস আই রবিউল

শার্শা অগ্রভুলোটে জনরোষের শিকার হয়ে সাজানো নাটকের আটককৃতকে ছাড়তে বাধ্য হলো এএস আই রবিউল

কর্তৃক
০ মন্তব্য 128 ভিউজ

মিলন হোসেন বেনাপোল।
শার্শা অগ্রভুলোট সীমান্তে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসাতে যেয়ে জনরোষে পড়ে, শার্শা থানার এএসআই রবিউল ওই ঘটনার শিকার মফিজুরকে ছেড়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

স্থানীয়রা জানায় রোববার রাত ৮ টার দিকে অগ্রভুলোট বাজারে একটি ক্রাম বোর্ড খেলার ঘরে শার্শা থানার এ এস আই রবিউল প্রবেশ করে। এসময় কেউ কিছু বুঝে উঠার আগে তিনি একটি সিগারেট এর প্যাকেটে কিছু ইয়াবা ফেলে দিয়ে মফিজুর রহমান নামে এক যুবককে ঝাপটে ধরে। এরপর হ্যান্ডকাফ পরিয়ে মফিজুরকে নিয়ে যেতে গেলে জনরোষের শিকার হয় ওই এস আই রবিউল ইসলাম। এলাকার জনগন বেপরোয়া ভাবে এএস আই রবিউলের উপর ক্ষিপ্ত হলে সে দৌড়ে পাশে তবিবার রহমান নামে একজন মেম্বারের বাড়ি আশ্রয় নিয়ে গেট বন্ধ করে দেয়। এসময় জনগন উত্তেজিত হলে মফিজুরকে হাতের হ্যান্ডকাফ খুলে দেয়।

স্থানীয় আইয়ুব হোসেন বলেন মফিজুরকে আটকের পর মাসুদ পারভেজ নামে একজন উকিল ওই দারোগাকে অহেতুক মফিজকে ফাঁসানোর উদ্দেশ্য ও ইয়াবা গননার আগে কয় পিছ প্যাকেটে আছে তা বলে দেওয়ায় কিভাবে প্যাকেট গননা না করে বলা হলো এনিয়ে প্রশ্ন করায় দারোগা রবিউল বিপাকে পড়ে মফিজুরকে ছেড়ে দেয়।

এ ব্যাপারে মাসুদ পারভেজ এর নিকট তার মুঠো ফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের অনেক কিছু রেস্টিকশন আছে সব কিছু বলা যাবে না। আপনারা এলাকায় আসলে সব জানতে পারবেন।
এলাকার জনপ্রতিনিধি মেম্বার তবিবার রহমান এর নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি কোরবানির চাউল দেওয়ার লিস্ট নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম। পরে শুনলাম মফিজুরকে ইয়াবা দিয়ে আটক করার পর জনগন তাকে ছাড়িয়ে নেয়।

এ ব্যাপারে এ এস আই রবিউল ইসলাম বলেন, মফিজুরের নামে তিন চারটি মামলা রয়েছে। সে একজন মাদক ব্যবসায়ি। তার নামে গতকাল ১১৩ পিছ ইয়াবা দিয়ে মামলা দেওয়া হয়েছে। তাকে ছেড়ে দিলেন কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি তাকে আটক করি নাই ছেড়ে দিব কেন? এলাকার লোক বলছে তাকে আপনি মিথ্যা ভাবে ফাঁসানোর জন্য আটক করেছেন, পর জনরোষে পড়ে ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, গ্রামের মানুষ কত কিছু বলে। এ নিয়ে নিউজ করার প্রয়োজন নেই। আমার সাথে দেখা করেন আমরা ভাই ভাই।

এ ব্যপারে শার্শা থানার ওসি বদরুল আলম এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন ইয়াবা উদ্ধার হয়েছে, এবং সিজার লিস্ট হয়ে মামলা হয়েছে। আসামি জনরোষে পড়ে ছেড়ে দেওয়ার বিষয়টি তিনি জানেন না বলে জানান।
তবে এলাকা সুত্রে জানা গেছে অগ্রভুলোট গ্রামের ইমান সরদারের ছেলে মফিজুর একজন মাদক ব্যবসায়ি ছিল। তার নামে থানায় কয়েকটি মামলাও আছে। বর্তমানে সে মাদক ব্যবসা ছেড়ে দিয়ে অন্য পেশা ধরেছে বলে সুত্রটি দাবি করে। তাকে এলাকার অন্য একটি পক্ষ মাদক দিয়ে ফাঁসানোর জন্য এ এস আই রবিউলের সাথে আঁতাত করে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন