হোম অন্যান্যসারাদেশ লোহাগড়ার মাদক সম্রাট গণধর্ষণ মামলায় গ্রেপ্তার

লোহাগড়ার মাদক সম্রাট গণধর্ষণ মামলায় গ্রেপ্তার

কর্তৃক
০ মন্তব্য 102 ভিউজ

নড়াইল অফিস :

নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার মাদক সম্রাট রিপন মোল্লা (৩৫) গণধর্ষণ মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন। রোববার ভোরে তাঁর বাড়ি থেকে লোহাগড়া থানা-পুলিশ তঁকে গ্রেপ্তার করে। রিপন উপজেলার দিঘলিয়া ইউনিয়নের কুমড়ি গ্রামের বাসিন্দা।

এক সন্তানের জননীকে গণধর্ষণের অভিযোগে গত শনিবার রাতে ওই নারীর বাবা লোহাগড়া থানায় মামলা করেন। এ মামলায় আরও আসামি করা হয় কুমড়ি গ্রামের ওহিদুল মোল্লা (২৬) ও তালবাড়িয়া গ্রামের নুরনবী মোল্লাকে (২৫)। এ ছাড়া আরও অজ্ঞাতনামা ৪-৫ জনকে আসামি হয়েছেন।

অভিযোগে বলা হয়, ধর্ষণের শিকার নারীর একটি সমস্যা মিটিয়ে দেওয়ার কথা বলে তাঁর স্বামীসহ ওই নারীকে গত বুধবার রাতে আসামিরা মোটরসাইকেলে করে নিয়ে যান। পথে স্বামীকে হাত-পা ও মুখ বেঁধে মারপিট করেন তাঁরা। পাশের গ্রামের বাঁশবাগানে নিয়ে রিপন ও ওহিদুল মেয়েটিকে বেঁধে ধর্ষণ করে। গভীর রাতে হাত-পা ও মুখ বাঁধা অবস্থায় তাঁদের বাড়ির পাশে ফেলে যায়। প্রতিবেশিরা তাঁদের উদ্ধার করে বাড়িতে দিয়ে যান।
ওই নারীর বাবা বলেন, রিপন ও ওহিদুল আমার আপন চাচাতো ভাই। বাড়ি থেকে বের হলে বা এ বিষয়ে মুখ খুললে খুন করার হুমকি দেয় আসামিরা। তাই ভয়ে বাড়ি থেকে দুদিন কেউ বের হইনি। প্রতিবেশিদের মাধ্যমে বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় দুুদিন পর স্বামী ও স্ত্রী দুজনকে নড়াইল সদর হাসাপাতালে ভর্তি করা হয়। তাঁরা সেখানে চিকিৎসাধীন আছেন।

লোহাগড়া থানা সূত্র জানায়, রিপন ১০টি ফৌজদারি মামলার আসামি। এর মধ্যে সাতটি মাদক মামলা, একটি খুনের এবং আর দুটি মারামারির। লোহাগড়া থানার ওসি সৈয়দ আশিকুর রহমান বলেন, ‘ধর্ষণের বিষয়টি পরিবার থেকে জানায়নি। নড়াইল সদর হাসাপাতালে ভর্তি হওয়ায় সদর থানা পুলিশের মাধ্যমে গত শুক্রবার বিষয়টি জানতে পারি। তখন থেকে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে পুলিশ মাঠে নামে। তাঁরা পালিয়ে যান। গতকাল ভোরে রিপন বাড়িতে ফিরে এলে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। রিপন মাদকের একজন বড় ডিলার। তিনি এলাকায় নানা সন্ত্রাসী কার্যকলাপে জড়িত। এর আগেও অন্য মামলায় তিনি গ্রেপ্তার হয়েছেন। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন