লাইফস্টাইল ডেস্ক :
যারা সাজতে পছন্দ করেন আর যারা করেন না–দুপক্ষেরই সবচেয়ে প্রিয় হলো লিপস্টিক। লিপস্টিকের বিভিন্ন শেড বিভিন্ন পরিবেশে মানানসই। বিশেষ কোনো অনুষ্ঠানে এক ধরনের লিপস্টিক আবার প্রতিদিনের ব্যবহারে এক ধরনের লিপস্টিক। তবে আপনি যে লিপস্টিক ব্যবহার করছেন তার উপাদান স্বাস্থ্যের কোনো ক্ষতি করছে কি না, এ বিষয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়।
এ জন্য লিপস্টিক কেনার আগে রং আর ব্র্যান্ড ছাড়াও এতে উপাদান কী কী আছে, সে বিষয়ে সতর্ক হতে হবে। চলুন সে সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিই–
থ্যালেটমুক্ত লিপস্টিক
বেশির ভাগ দামি ব্র্যান্ডের লিপস্টিকে তার উপাদানগুলো লেখা থাকে। যদি দেখেন যে সেই লিপস্টিকে থ্যালেট আছে ,তাহলে সেটা কিনবেন না। কারণ, থ্যালেট শরীরে হরমোনের গতিপ্রকৃতি পাল্টে দেয়। অতিরিক্ত থ্যালেটের প্রভাবে স্নায়ুর সমস্যা দেখা দিতে পারে বা প্রজনন ক্ষমতাও কমে যেতে পারে।
লেড বা সিসামুক্ত লিপস্টিক
অনেক ব্র্যান্ডই লিপস্টিকে লেড বা সিসা ব্যবহার করে। এটি একটি বিষাক্ত পদার্থ যা ক্যানসারের কারণ হতে পারে।
প্রাকৃতিক বস্তু দিয়ে তৈরি লিপস্টিক
যেসব লিপস্টিকে শিয়া বাটার, জোজোবা অয়েল, আরগান অয়েল বা ক্যাস্টর অয়েল আছে সেগুলো বেছে নিন। এগুলো হলো প্রাকৃতিক উপাদান, যা কোনোরকম ক্ষতি না করেই ঠোঁট আর্দ্র রাখবে।
এড়িয়ে চলুন ডার্ক শেড
মনে রাখবেন লিপস্টিকের রং যত ঘন হয় তার অর্থ এতে তত বেশি করে হেভি মেটালস আছে। তাই লিপস্টিকের হালকা শেডই ভালো। যদি একান্তই ডার্ক শেড ব্যবহার করতে ইচ্ছে হয় তাহলে ভেষজ লিপস্টিক বেছে নিন।
প্যারাবেনমুক্ত লিপস্টিক
শুধু লিপস্টিক নয়, অনেক প্রসাধনীতেই প্রিজারভেটিভ হিসাবে প্যারাবেন থাকে। প্যারাবেন সরাসরি ত্বকে প্রবেশ করে এবং স্তন ক্যান্সারের মতো মারাত্মক রোগের কারণ হতে পারে।