অনলাইন ডেস্ক:
মেহেরপুরের গাংনী উপজেলা পরিষদ নির্বাচন থেকে একে একে সরে দাঁড়াচ্ছেন প্রার্থীরা। তিন দিনে ৩ জন প্রার্থী সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন।
নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে যাওয়া ৩ প্রার্থী হলেন, মেহেরপুর-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সাহিদুজ্জামান খোকনের স্ত্রী লায়লা আরজুমান বানু, গাংনী উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মোশারফ হোসেন এবং সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এ কে এম শফিকুল আলম।
ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন না বলে জানিয়েছেন তারা।
গেল রোববার (১৩ মে) নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন লায়লা আরজুমান বানু। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তিনি দোয়াত কলম প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছিলেন। দিন না পেরোতেই নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন আরেক প্রার্থী মোশাররফ হোসেন। নির্বাচনে মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে লড়ছিলেন তিনি।
বুধবার (১৫ মে) আবারও সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন কাপ-পিরিচ প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এ কে এম শফিকুল আলম।
সংবাদ সম্মেলনে প্রার্থীরা ব্যক্তিগত কারণ দেখালেও সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উঠে আসে ভিন্ন কথা।
লায়লা আরজুমান বানুর পক্ষে কথা বলতে গিয়ে সাবেক সংসদ সদস্য শাহিদুজ্জামান খোকন বলেন, পরবর্তীতে রাজনীতি করার স্বার্থেই নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এ সময় কোনো কথা না বললেও অশ্রুসিক্ত ছিল লায়লা আরজুমান বানুর চোখ।
অন্যদিকে সংবাদ সম্মেলনে ক্ষোভ প্রকাশ করেন একেএম শফিকুল আলম। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে টিকতে না পেরে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে দাঁড়ানোর সিন্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ার জন্যই তার এই সিদ্ধান্ত বলে জানান তিনি ।
প্রসঙ্গত, গাংনী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিএনপির এক প্রার্থীসহ আট প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছিলেন। তিন প্রার্থী সরে যাওয়াতে বর্তমানে নির্বাচনের মাঠে আছেন পাঁচজন প্রার্থী।