হোম অন্যান্যসারাদেশ মশারি টাঙানো বিছানায় মায়ের গলাকাটা মরদেহ, পালিয়েছেন ছেলে

মশারি টাঙানো বিছানায় মায়ের গলাকাটা মরদেহ, পালিয়েছেন ছেলে

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 55 ভিউজ

অনলাইন ডেস্ক:

কেউ বলছেন বিয়ে পাগল। আবার কেউ মানসিকভাবে বিকারগ্রস্ত। এমনই এক ছেলের হাতে নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন মা। ঘটনার পর পালিয়ে যান ঘাতক রাসেল খান নামে ওই যুবক।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) দুপুর পৌনে তিনটায় উপজেলার পাইকপাড়া দক্ষিণ ইউনিয়নের ইছাপুরা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার শিকার মোসাম্মৎ বানু ওই গ্রামের আতর খানের স্ত্রী।

হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে চাঁদপুর জেলা পুলিশের মুখপাত্র পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) সুদীপ্ত রায় জানান, রাসেল খান (২৮) নামে ওই যুবক তার মা মোসাম্মৎ বানুকে (৬০) ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে। তবে ঘটনার পর এলাকা ছেড়ে ওই যুবক পালিয়ে যায়।

তিনি জানান, পুলিশ ঘাতককে আটকের চেষ্টা করছে। তবে কী নিয়ে এমন নির্মম হত্যাকাণ্ড, তা এখনও নিশ্চিত হতে না পারলেও খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত কয়েকমাস ধরে বিয়ে করার জন্য বাবা ও মাকে চাপ দিচ্ছিল রাসেল খান নামে ওই যুবক। সে এক সময় রাজধানী ঢাকায় নৈশপ্রহরীর কাজ করতেন। চার বছর আগে চাকরি ছেড়ে গ্রামে ফিরে আসে রাসেল খান। তারপর থেকে বেকার।

অন্য একটি সূত্র জানিয়েছে, মানসিকভাবে কিছুটা অসুস্থ ছিল রাসেল খান। স্থানীয়দের ধারণা, মেজাজ হারিয়ে মায়ের ওপর হামলে পড়েন তিনি।

নিহতের স্বামী আতর খান জানান, তিনি ঘটনার সময় বাড়ির বাইরে ছিলেন। তার ছেলে রাসেল ফোনে তাকে জানায়, কে বা কারা মাকে মেরে ফেলেছে। তারপর থেকে রাসেলের মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়। তারও কোনো খোঁজ মিলছে না।

এদিকে, হত্যাকাণ্ডের সংবাদ পেয়ে সংশ্লিষ্ট সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পঙ্কজ কুমার দে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

তিনি জানান, পারিপার্শ্বিক আলামত দেখে এটা নিশ্চিত যে- রাসেল খান নামে ওই যুবকই তার মাকে হত্যা করেছে। কারণ, এরইমধ্যে বেশকিছু তথ্যউপাত্ত সংগ্রহ করেছে পুলিশ।

অন্যদিকে, পুলিশ রক্তাক্ত মরদেহ বসতঘরে মশারি টাঙানো বিছানা থেকে উদ্ধার করেছে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে এ ঘটনায় এখনও পর্যন্ত পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় কোনো অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। তিনবোন দুই ভাইয়ের মধ্যে ঘাতক রাসেল খান সবার ছোট। তার বাবা আতর খান ফরিদগঞ্জ উপজেলার রূপসাবাজার এলাকার একটি মাদ্রাসায় বাবুর্চি পদে কাজ করেন। আর ভাই এবং বোনরা বিয়ের পর এলাকা ছেড়ে রাজধানী ঢাকায় বসবাস করছেন।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন