হোম অন্যান্যসারাদেশ ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় ছুটির দিনে বিভাগীয় প্রোগ্রাম না রাখার দাবি ইবি ছাত্রশিবিরের

ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় ছুটির দিনে বিভাগীয় প্রোগ্রাম না রাখার দাবি ইবি ছাত্রশিবিরের

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 10 ভিউজ

ইবি সংবাদদাতা:

বিভিন্ন ধর্মাবলম্বীর শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মাহমুদুল হাসান বলেছেন, আপনাদের ধর্মীয় ছুটির দিনে যেন কোনো বিভাগ কোনো প্রোগ্রাম না রাখে সেজন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে দাবি জানাবো। ছাত্রশিবিরের সভাপতির কক্ষ শুধু মুসলিম শিক্ষার্থীদের জন্য নয়, মুসলিম-অমুসলিম সকল শিক্ষার্থীর জন্যই উন্মুক্ত। যে কেউ যেকোনো প্রয়োজনে আসতে পারবেন। আমরা ছাত্রশিবিরের পক্ষ থেকে আপনাদেরকে সর্বাত্মক সহায়তা করার চেষ্টা করবো।

তিনি আরও বলেন, আমাদের সংবিধানের প্রতিটি অনুচ্ছেদ শিক্ষার্থীদের কল্যাণে গড়া। আপনারা আপনাদের আদর্শ এবং আমরা আমাদের আদর্শ প্রচার করি। আমাদের আদর্শ যদি আপনাদের ভালো লাগে তাহলে ওয়েলকাম। ইসলাম কখনো কোন ধর্মাবলম্বীদের উপর জোর করে না।   বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের ৪৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ও অন্যান্য ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি। বৃহস্পতিবার বেলা ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে (টিএসসিসি) এটি অনুষ্ঠিত হয়। এসময় শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মাহমুদুল হাসানের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি ইউসুব আলীর সঞ্চালনায় সভায় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির অফিস সেক্রেটারি রাশেদুল ইসলাম রাফি ও অর্থ সম্পাদক শেখ আল আমিন। এসময় ইবি পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ পংকজ রায় ও শোভন হালদার, মন্টু চাকমা, কৌষন চাকমা, প্রদীপ কুমার দাসসহ বিভিন্ন ধর্মের অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন। এসময় শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন শিবির সভাপতি। পরে তাদের মাঝে খাবার ও বই উপহার দেয় সংগঠনটি। সভায় হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীসহ বিভিন্ন ধর্মের শিক্ষার্থীরা তাদের মতামত তুলে ধরেন। বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীরা বলেন, পাহাড়ের মানুষগুলো যুগ যুগ ধরে তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত। আলাদা সংস্কৃতি থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেও আমাদের নানা সমস্যায় পড়তে হয়। অন্য হলগুলোতে ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের জন্য আলাদা কক্ষ বরাদ্দ থাকলেও শেখ রাসেল হলে কোনো কক্ষ বরাদ্দ নেই। আপনারা প্রশাসনকে বিষয়টি নিয়ে বিবেচনায় রাখার জন্য অনুরোধ করবেন বলে প্রত্যাশা রাখছি। হিন্দু ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীরা বলেন, সকল ধর্মের মানুষের জন্যই বিশ্ববিদ্যালয় উন্মুক্ত। রমজান মাসে হলগুলোতে রান্না করা হয় না। ক্যাম্পাসের বাইরেও খাবার পাওয়া কষ্ট হয়ে যায়। মাঝেমধ্যে গরুর মাংসের উপকরণ মুরগি, মাছ বা তরকারিতেও ব্যবহার করা হয়। এটি সংবেদনশীল বিষয় হওয়ায় আমাদের জন্য সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। আশা করছি আপনারা বিষয়টি দেখবেন।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন