সংকল্প ডেস্ক:
ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে তিনদিন পর স্বাভাবিক হলো আলু ও পেঁয়াজের স্লট বুকিং। সোনামসজিদ স্থল বন্দর দিয়ে বুধবার (২৭ নভেম্বর) প্রবেশ করেছে আমদানিকৃত আলু ও পেঁয়াজ ভর্তি ভারতীয় ট্রাক। সারা দিনে ৯৪টি ভারতীয় ট্রাকে ২ হাজার ৫০২.৬ টন পেঁয়াজ ও ১০৯টি ট্রাকে ২ হাজার ৯৪২.১ টন আলু প্রবেশ করেছে।
সোনামসজিদ বন্দর পরিচালনাকারী বেসরকারি অপারেটর প্রতিষ্ঠান পানামা সোনামসজিদ পোর্ট লিংক লিমিটেড অপারেশন ম্যানেজার কামাল খান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বৃহস্পতিবার আবারো ভারত থেকে আসছে ট্রাকবোঝাই পেঁয়াজ ও আলু। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের স্লট বুকিং পোর্টাল ফের চালু হওয়ার স্বস্তি ফিরেছে সীমান্ত ব্যবসায়ীদের মধ্যে।
এর আগে ২৫ নভেম্বর ৩ ট্রাকে ৬২ টন আলু শুধু বন্দরে প্রবেশ করার পর পণ্য দুটি আমদানি বন্ধ হয়ে যায়। গণমাধ্যমে আমদানি বন্ধের খবর প্রচারের পর দেশের অন্যান্য স্থানের ন্যায় চাঁপাইনবাবগঞ্জেও বেড়ে যায় পণ্য দুটির দাম।
কেজি প্রতি আলু অন্তত ১০ টাকা ও পেঁয়াজ অন্তত ১৫ টাকা বেড়ে যায়। এখন আমদানি অব্যাহত থাকলে মূল্য আবারো কমে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের পেঁয়াজ আমদানিকারক মেসার্স সাজ্জাদ এন্টারপ্রাইজ স্বত্বাধিকারী মাসুদুর রহমান বলেন, গত রোববার (২৪ নভেম্বর) গণমাধ্যমে তারা জানতে পারেন পণ্য দুটি রফতানি বন্ধ করে দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকার। এ ব্যাপারে তাদের ভারতীয় রফতানিকারকরাও আগাম কোনো তথ্য দেননি।
এরপর গত সোমবার (২৫ নভেম্বর) থেকেই বন্ধ হয়ে যায় পণ্য দুটির আমদানি। গত মঙ্গলবারও (২৬ নভেম্বর) ওই দুই পণয় প্রবেশ করেনি। এরপর বুধবার (২৭ নভেম্বর) আবারও আমদানিকৃত আলু ও পেঁয়াজ বন্দরে প্রবেশ করে।
ভারতীয় রফতানিকারক ও সিএন্ডএফ এজেন্টরা তাদের জানান, পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকার তাদের বাজারে পণ্য দুটির দাম বেশি বলে পশ্চিমবঙ্গের কোনো বন্দর দিয়ে পণ্য দুটি রফতানির অনুমতি দেয়নি।
তিনি আরো বলেন, বুধবার সোনামসজিদের বিপরীতে পশ্চিমবঙ্গের মহদিপুর স্থলবন্দরে আলুবোঝাই ট্যাক্স দেওয়া যেসব ট্রাক রয়েছে (পাইপলাইনে) সেগুলো আপাতত রফতানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। পরবর্তী সিদ্ধান্ত না দেওয়া পর্যন্ত পেঁয়াজ আমদানি চলবে বলেও শোনা গেছে। পেঁয়াজের ব্যাপারে কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসেনি। সিদ্ধান্তগুলো কেন্দ্রীয় নয় বরং রাজ্য সরকারের বলেও জানা গেছে।