মোল্লাহাট (বাগেরহাট) প্রতিনিধি :
বাগেরহাটের মোল্লাহাটে হাড়িদাহ গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুটি পক্ষের দফায় হামলা/পাল্টা হামলা চলছে, বিষয়টি যে কোন সময় বড় ধরনের সংঘর্ষে রূপনিতে পারে। পুলিশ ও ঘটনাস্থলে খোজ নিয়ে জানাগেছে উক্ত গ্রামের আবেদ আলী মোল্লা, ইমদাদ মোল্লা গ্রæপ ও রশীদ মোল্লা,সায়েম ফকির গ্রুপ নামে দুটি বিবাদমান গ্রুপ রয়েছে। প্রায়ই তুচ্ছঘটনাকে কেন্দ্র করে দুটি গ্রুপের লোকজনদের মাঝে হামলা/পাল্টাহামলা চলতে থাকে। তারই ধারাবাহিকতায় সোমবার রাত ৯টার দিকে উক্ত গ্রামের আবেদ আলী গ্রæপের মিজানুর মোল্লা জয়ডিহি বাজার থেকে ভ্যানগাড়ী চালিয়ে বাড়ি ফেরার সময় একিন শেখের বাড়ির কাছে আসলে পূর্ব থেকে ওতপেতে থাকা রশীদ গ্রুপের লোকজন তার ওপর হামলা করে তাকে এলোপাতাড়ি মারপিট করে গুরুতরভাবে আহত করে, তার আত্মচিৎকার শুনে প্রতিবেশী আসলাম শিকদার তাকে উদ্ধার করতে ছুটে আসে, হামলাকারীরা তখন আসলামকে ও বেধড়ক মারপিট করে। একপর্যায় এখবর গ্রামে ছড়িয়ে পড়লে আবেদ গ্রæপের লোকজন রাতেই রশীদ গ্রুপের লোকদের ওপর হামলা করে, এসময় ইসরাইল কাজী, হাসিব মোল্লাসহ ৩জন আহত হয় এবং ইসরাইল কাজীর বাড়ী ভাংচুর করে তারা। পরে এলাকাবাসী মীমাংসার কথা বলে আবেদের লোকজনদের থামিয়ে দেয়। এসময় রশীদের লোকজন সংঘবদ্ধ হয়ে অতর্কিত ভাবে আবেদের লোকজনের ওপর হামলা করে এবং আবেদের বাড়ী, ইমদাদ মাওলানার বাড়ী, একিন শেখের বাড়ী, রফিক মোল্লার বাড়ী ও খায়ের মোল্লার বাড়ী ভাংচুর করে। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ও এলাকার গন্যমান্য নেতৃবৃন্দ ছুটে এসে তাদের উভয়পক্ষকে থামিয়ে দেয়। আহতরা মোল্লাহাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। মঙ্গলবার সকালে পুনরায় রশীদ গ্রুপের লোকজন হামলা চালিয়ে ওমর খার বাড়ী, মিরাজ শেখের দোকান, রাজ্জাক শেখের বাড়ী, রেজাউল এর বাড়ী ও ইজিবাইক ভাংচুর করে। খবর পেয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান শাহীনুল আলম ছানা ও মোল্লাহাট থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে যেয়ে সংঘর্ষ থামিয়ে দেয়। পুলিশ আবেদ আলী মোল্লাকে জিগ্যাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসে এবং উক্ত এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানাগেছে। এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। যুবকদের রামদা নিয়ে ঘোরাফেরা করতে দেখা যাচ্ছে। অতিসত্বর আইন শৃঙ্খলা বাহিনীদ্বারা এলাকা তল্লাসী করে দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র উদ্ধার না করলে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা রয়েছে বলে সচেতন মহল ধারনা করছে।