নড়াইল অফিস :
নড়াইলে এতিমখানা ও রহমানিয়া মাদ্রাসার এক শিক্ষকের পিটুনিতে আরিফ বিল্লাহ (৯) নামে এক ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
জেলার লোহাগড়া উপজেলার ৩ নং শালনগর ইউনিয়নের মন্ডলভাগ আক্তার হোসেন এতিমখানা ও রহমানিয়া মাদ্রাসার এক শিক্ষকের পিটুনিতে এই মৃত্যু হয়েছে বলে নিহতের পিতা অভিযোগ করে বলেন গত রবিবার (২৩ জানুয়ারি) শিক্ষকের মারপিটে অসুস্থ হয়ে রাতে তার ছেলে আরিফ মৃত্যুবরণ করে।
গত আট মাস আগে ওই মাদ্রাসায় ভর্তি করা হয় আরিফ বিল্লাহ কে, সেখানে একটা বাড়িতে লজিং থাকত সে,গত ৭/৮ দিন আগে মাদ্রাসায় টাকা হারানোর ঘটনা ঘটে। এই সুবাদে অত্র মাদ্রাসার শিক্ষক আব্দুল্লাহ, আরিফ বিল্লাহ কে ঘুমন্ত অবস্থায় লাঠি দিয়ে পেটায়। এর পরে সে অসুস্থ হয়ে পড়লে তিন দিন যাবত মাদ্রাসায় রেখে তাকে গোপনে চিকিৎসা দেয়। এর মধ্যে লজিং এর ওই বাড়ির মহিলা আরিফ বিল্লার কথা জিজ্ঞেস করলে অন্য ছাত্ররা জানায় সে অসুস্থ। তখন ওই মহিলা আরিফ এর বাড়িতে ফোন করে জানান। পরে আরিফ এর অসুস্থতার খবর পেয়ে লাহুড়িয়া থেকে তার ফুফু এসে তাকে নিয়ে যায়।
বাড়িতে গিয়ে আরিফ তার পরিবার কে সব কথা খুলে বলে,আরিফের বাবা ইতনা ইউনিয়নের ডিগ্রির চর গ্রামের নুর ইসলাম সে ঢাকায় চাকুরী করেন, ছেলের উপর মারপিটের ঘটনা শুনে বাড়িতে আসলে এক দিন পরে মৃত্যু হয় আরিফের।
আরিফের বাবার সাথে কথা বলে জানা যায়,তিনি খবর পেয়ে বাড়িতে আসলে ছেলে তাকে বলেছেন ওই মাদ্রাসার শিক্ষক আব্দুল্লাহ আরিফের গোপনস্থান সহ বিভিন্ন জায়গায় লাঠি দিয়ে আঘাত করে। রবিবার রাতে তার ছেলে আরিফ মৃত্যুবরণ করে বলে অভিযোগ করেন তিনি এবং ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন তিনি।
এবিষয়ে অত্র মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা মো. আশরাফ আলী”র সাথে যোগাযোগ করা হলে জানা যাই তিনি পলাতক রয়েছেন। অভিযুক্ত শিক্ষক আব্দুল্লাহও পালিয়েছেন বলে জানা যায়।
এ বিষয়ে লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ আবু হেনা মিলন বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ সরেজমিনে গিয়ে লাশের সুরাতাল শেষ করে নড়াইল সদর হাসপাতালে ময়না তদন্তের জন্য প্রেরণ করা হয়েছে। মেডিকেল রিপোর্ট আসলে নিশ্চিত করা হবে কি ভাবে মৃত্যু হয়েছে।