সংকল্প অনলাইন ডেক্সঃ
যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও মর্যাদায় সারাদেশে পবিত্র লাইলাতুল কদর পালন করছে মুসলিম সম্প্রদায়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মুসলমানদের মতো বাংলাদেশের মুসলমানরাও নিজেদের গুনাহ মাফ ও মনোবাসনা পূরণের জন্য আল্লাহর দরবারে কান্নাকাটি এবং অধিক সাওয়াব হাসিলের আশায় নফল ইবাদত, কোরআন তিলাওয়াত, জিকির-আজকার আর বিশেষ মোনাজাত করছে। শবে কদর উপলক্ষে সোমবার সরকারি ছুটি।
লাইলাতুল কদর উপলক্ষে করোনার বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে রাজধানীসহ সারাদেশের মসজিদগুলোতে বিশেষ ইবাদত-বন্দেগির আয়োজন করা হয়। পবিত্র এ রাতে অনেকেই কবরস্থানে গিয়ে স্বজনদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করছেন।
রবিবার মাগরিবের পরপরই জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমসহ রাজধানী ঢাকার বড় ছোট সব মসজিদেই মুসল্লিরা সমবেত হন। এশার নামাজ জামাতে আদায়ের পর সবাই নফল নামাজসহ নানা ইবাদত বন্দেগিতে মশগুল হন। বাসাবাড়িতে সারারাত জেগে ইবাদত করবেন। ফজরের নামাজ জামাতের সঙ্গে আদায় ও আখেরি মোনাজাতে অংশগ্রহণ শেষে ঘরে ফিরবেন অনেকে।
লাইলাতুল কদরের রাত বিশ্ব মুসলিম সম্প্রদায়ের কাছে এক অতি গুরুত্বপূর্ণ রাত। লাইলাতুল কদর অর্থ মহিমান্বিত রজনী বা মর্যাদাসম্পন্ন রাত। পবিত্র এ রাতেই মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-এর ওপর নাজিল হয়েছিল পবিত্র মহাগ্রন্থ আল-কুরআন। পবিত্র কুরআনে এ রাতকে হাজার মাসের চেয়েও শ্রেষ্ঠ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। নবী করীম (সাঃ) এ রাতে নিজে ইবাদতে মশগুল থাকতেন এবং তাঁর সাহাবীদেরও বেশি বেশি ইবাদত করার নির্দেশ দিতেন। রমজান মাসের ২১ থেকে ২৯ তারিখের মধ্যে বেজোড় সংখ্যার রাতেই পবিত্র লাইলাতুল কদর। তবে ২৭ রমজান অর্থাৎ ২৬ রমজান দিবাগত রাতকেই কদরের রাত হিসেবে ধরে নেয়া হয়েছে।