দেবহাটা প্রতিনিধি :
দেবহাটায় জমিজমা সংক্রান্ত পূর্ব বিরোধের জের ধরে আব্দুল মালেক (৫৫) নামের এক বৃদ্ধের বাড়িতে সশস্ত্র হামলা চালিয়েছে প্রতিপক্ষরা। এসময় তারা শাবল দিয়ে পিটিয়ে বৃদ্ধ আব্দুল মালেকের মাথা ফাঁটিয়ে দিয়েছে এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে তার বাম হাতের একটি আঙ্গুল কেটে নিয়েছে। আহত বৃদ্ধ আব্দুল মালেক উপজেলার দেবীশহর গ্রামের মৃত দীনআলী কারিকরের ছেলে। মারপিটকালে বাঁধা দিতে গেলে আব্দুল মালেকের স্ত্রী মুনজিলা খাতুন (৪৫) ও ছোট ছেলে আলমগীর হোসেন (২৬) কে বেধড়ক পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে প্রতিপক্ষরা। সোমবার সকাল ৬টার দিকে দেবীশহরস্থ আহতদের বাড়িতে ঢুকে এ সশস্ত্র হামলা চালায় প্রতিপক্ষরা। আহতরা বর্তমানে সখিপুরস্থ দেবহাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছে। এঘটনায় আহত বৃদ্ধের বড় ছেলে আরিফ হোসেন বাদী হয়ে ৫ জনকে আসামী করে দেবহাটা থানায় একটি মামলা (নং-০৩) দায়ের করেছেন।
মামলার বাদী আরিফ হোসেন জানান, দীর্ঘদিন ধরে জমিজমা নিয়ে তার বড় চাচা আব্দুল খালেকের সাথে তাদের পরিবারের বিরোধ চলে আসছিল। এনিয়ে আদালতে একাধিক মামলাও চলমান রয়েছে। সোমবার সকালে আব্দুল খালেক, তার স্ত্রী ফিরোজা খাতুন, দুই ছেলে ফারুক হোসেন ও খায়রুজ্জামান এবং ফারুক হোসেনের স্ত্রী ইয়াসমিন ধারালো দা, শাবল, লাঠিশোঠা নিয়ে অতর্কিত তাদের বাড়িতে ঢুকে তার বৃদ্ধ বাবা আব্দুল মালেকের ওপর হামলা চালায়। এসময় দা দিয়ে কুপিয়ে তার বাবার হাতের একটি আঙ্গুল কেটে নেয়ার পাশাপাশি শাবল দিয়ে পিটিয়ে মাথা ফাঁটিয়ে দেয় হামলাকারীরা। বাঁধা দিতে গেলে তার বাবা ও ছোট ভাইকেও পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে তারা। পরে স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।
আরিফ হোসেন আরও বলেন, এঘটনায় মামলা করার পর পুলিশ ফারুক হোসেন ও খায়রুজ্জামানকে গ্রেফতার পরবর্তী জেল হাজতে প্রেরণ করে। কিন্তু মামলার অপর আসামী তার বড় চাচা আব্দুল খালেক অদ্যবধি পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে এলাকায় আত্মগোপনে রয়েছে। এমনকি আত্মগোপনে থেকে মামলা তুলে নিতে তার চাচা আব্দুল খালেক প্রতিনিয়ত নানাভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শনসহ তার পরিবারকে হুমকি দিচ্ছেন বলেও অভিযোগ মামলার বাদী আরিফের। তাছাড়া আসামীরা আদালতকে বিভ্রান্ত করে জামিন নিতে তার আহত স্বজনদের সম্পর্কে নানা ধরনের কুৎসা রটনা ও অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি।
এব্যাপারে দেবহাটা থানার ওসি শেখ ওবায়দুল্লাহ বলেন, মারপিটের ঘটনায় আহতের ছেলে বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করলে তাৎক্ষনিক দু’জন আসামীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বাকি আসামীদের মধ্যে দু’জন আদালত থেকে জামিন নিয়েছেন এবং একজন পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যহত রয়েছে বলেও জানান ওসি।