নিজস্ব প্রতিনিধি :
সাতক্ষীরায় জাল দলিল সৃষ্টি করে দীর্ঘ দিনের ভোগ দখলীয় জমি হইতে উচ্ছেদ করার পায়তারা অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছে এক গৃহবধূ। সোমবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সাতক্ষীরা সদরের পারকুখরালী গ্রামের মতিয়ার রহমানের স্ত্রী ফরিদা খাতুন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমার স্বামী দীর্ঘদিন যাবৎ সাতক্ষীরা পৌরসভার ০৫নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসছেন। তিনি সবসময় দলীয় কর্মকান্ডে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। পর কথা হলো যে সমস্যার জন্য আজ আমি আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি তা হলো: আমি ১৯৮২ সালে অভিলাষ পাড়ই এর নিকট থেকে ২৯৯৪ কোবলা মূলে ৪৩-১/২ শতক জমি খরিদ করিয়া ভোগ দখল করিয়া আসিতেছেন। উক্ত জমিতে আমার ধান্য চাষ করা আছে। আর কিছুদিনের মধ্যে জমির ধান কাটা যাইবে। ইতিমধ্যে রাধানগর গ্রামের হাফিজুল মোস্তাফার ছেলে মাহাবুবুর রহমান একটি জাল দলিল সৃষ্টি করিয়া আমার ভোগ দখলীয় জমি হইতে উচ্ছেদ করার পায়তারা করিতেছে।
তিনি বলেন, আমার স্বামী মতিয়ার রহমানকে পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহাদাত হোসেনের স্ত্রী মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তার নিজ বাসায় ডেকে নিয়ে আমার স্বামীর নিকট আচমকা ২,০০,০০০/- (দুই লক্ষ) টাকা দাবী করেন। আরো বলেন, মাহবুবর রহমান আমার মেয়ের জামাই। তুমি যদি টাকা না দাও, তাহলে তোমার জমি আমি বেদখল করে দিব। আমার স্বামী তার প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তার (শাহাদাত হোসেনের) ছোট পুত্র ফারিব হোসেন এর নেতৃত্বে রুস্তমসহ ৫/৬জন আমার ভোগ দখলীয় জমিতে সেচ পাম্প এর মটর বরিং করা আছে। সেই বরিং এর সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে। এরপর আমার স্বামীকে শাসিয়ে যায় এবং বলে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করবো। আমার এই জমিতে আমার ছেলে মামুনুর ১৪৫ ধারায় একটি মামলা দায়ের করে। যাহার নং ১৮৫১/২৩। ১৪৫ ধারা জারি করা সত্তে¡ও হাফিজুল মোস্তফার ছেলে মাহবুবুর রহমান, মোঃ রুস্তমের ছেলে ওমর আলী, মৃত আব্দুল মাজেদ এর ছেলে মুজিবর বেড়ে মুজিবরসহ আরও অনেকে জমির পাকা ধান কাটার জন্য পায়তারা করছে এবং আমার পরিবারকে সর্বদা হুমকি ধামকি দিচ্ছে। বর্তমানে আমরা অত্যন্ত নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
তিনি আরো বলেন, গত ১১ অক্টোবর‘২৩ তারিখে আমার স্বামী এবং দুই ছেলের নামে একটি মিথ্যা সাধারণ ডায়েরী করে যার নং-৬৮৯, যাহা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। রুস্তম এর প্রকৃত বাড়ী তালা উপজেলায়। সে নিষিদ্ধ সংগঠনের সাথে জড়িত থাকার কারণে সেখান থেকে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর ভয়ে সাতক্ষীরা সদরের কুখরালী গ্রামে এসে বসবাস শুরু করে। এলাকায় উগ্রপন্থীদের নিয়ে এবং তালা থেকে মাঝে মাঝে যুবক শ্রেণির লোকেরা এসে তার বাড়িতে মিটিং করে। এই রুস্তম আমার ও পরিবারের সদস্যদের জীবন নাশের হুমকি দিচ্ছে। রুস্তমের এহেন কর্মকাণ্ডের কারনে গ্রামের মানুষ ভয়ে মুখ খুলতে পারে না।
তিনি সাংবাদিকদের মাধ্যমে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার মহোদয়ের নিকট আকুল আবেদন যাহাতে তার খরিদকৃত দখলীয় জমিতে নির্বিঘেœ চাষাবাদ করিতে পারে এবং স্বামী ও সন্তাদের নামে মিথ্যা ও হয়রানীমূলক মামলা থেকে নিষ্কৃতি পায় সে ব্যাপারে তদন্তপূর্বক দোষীদের আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবী জানান।