অনলাইন ডেস্ক:
চট্টগ্রামের মীরসরাই উপজেলার করেরহাট ইউনিয়নে একাধিক আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীর বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (১৪ এপ্রিল) সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত ইউনিয়ন ও উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বাড়িতে হামলা চালানো হয়।
হামলায় উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক কামরুল হোসেনের মা রাশেদা আক্তার (৬০), মামা আইনুল কবির (৪৮) আহত হন। এসময় ঘরে থাকা নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী পরিবারগুলো।
জানা গেছে, সোমবার সকালে যুবদল নেতা হকসাব, আলমগীর, শাখাওয়াত মাসুদ কালার নেতৃত্বে করেরহাট ইউনিয়নের ভালুকিয়া গ্রামে উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক কামরুল হোসেনের বাড়িতে প্রথমে হামলা ও ভাঙচুর করা হয়। এ সময় তার মা ও মামার ওপরও হামলা চালানো হয়।
এরপর করেরহাট ইউনিয়নের পশ্চিম জোয়ার গ্রামে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এবং চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক এনায়েত হোসেন নয়ন, করেরহাট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সুলতান গিয়াস উদ্দিন জসিম, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এমরান হোসেন ও ছত্তরুয়া গ্রামে অবস্থিত উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শাখাওয়াত উল্লাহ রিপনের বাড়িতেও হামলা ভাঙচুর চালানো হয়। এ সময় শাখাওয়াত উল্লাহ রিপনের ভাড়াটিয়া নাঈমার বাসায় ভাঙচুর ও নগদ টাকা এবং স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ ওঠে।
সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক এনায়েত হোসেন নয়ন বলেন, গত ৫ আগস্টের পর থেকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বাড়ি ছাড়া। গ্রামে শুধু পরিবারের লোকজন আর আত্মীয়স্বজন থাকে। সোমবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত আমার ঘর, আওয়ামী লীগ নেতা সুলতান গিয়াস উদ্দিন জসিম, শাখাওয়াত উল্লাহ রিপন, কামরুল হোসেন, এমরান হোসেনের বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়। কামরুলের মা ও মামাকেও বিএনপি-যুবদলের নেতাকর্মীরা মারধর করে। জড়িতদের আটক করার জন্য প্রশাসনের সহযোগিতা চান তিনি।
এ বিষয়ে জোরারগঞ্জ থানার ওসি সাব্বির মোহাম্মদ সেলিম বলেন, করেরহাট ইউনিয়নে কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতার বাড়িতে হামলার ঘটনা শুনে পুলিশ সাথে সাথে ঘটনাস্থলে যায়। পরে পুলিশের উপস্থিতিতে পরিবেশ শান্ত হয়। এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ দিলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।