হোম ধর্ষন নিউজ তাহিরপুরে আদিবাসী নারী ধর্ষণ

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি :

সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী রাজাই গ্রামে চার সন্তানের জনক কর্তৃক জোরপূর্বক বিবাহিতা ২০ বছর বয়সী এক আদিবাসী নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে আব্দুর রশিদ (৪০) নামের এক লম্পটকে গ্রেফতার করেছে তাহিরপুর থানা পুলিশ ।

এ ঘটনাটি ঘটেছে আজ(১৪ আগষ্ট শনিবার) সকাল ৭ টার সময় উপজেলার উত্তর বড়দল ইউনিয়নের সীমান্ত গ্রাম রাজাই। লম্পট রাশিদ মিয়ার ঘরে দুই স্ত্রী ও চারটি সন্তান রয়েছে।

স্থানীয় এলাকাবাসী ও ধর্ষিতার পরিবার সূত্রে জানাযায়, রাজাই গ্রামের ওই ধর্ষিতা নারী আজ সকাল ৭ টার সময় বাড়ির পাশেই পাহাড়ি ছড়ায় গোসল করতে গেলে এই সময় ধর্ষক রাশিদ মিয়াও ছড়ায় গোসল করতে যায়।

এ সময় লম্পট রাশিদ ওই আদিবাসী নারীর কাছে গোসল করার জন্য কৌশলে সাবন চেয়ে তার কাছে বিড়ে ওই আদিবাসী নারীকে কুপ্রস্তাব দেয়। এতে আদিবাসী নারী রাজি না হলে জোরপূর্বক ছড়ার পাশেই জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে লম্পট রাশিদ।

এ সময় মুসলধারে বৃষ্টি থাকায় ওই ধর্ষিতা আদিবাসী নারীর ডাকচিৎকার আশপাশের লোকজন শুনতে না পারায় ধর্ষক রাশিদ পালিয়ে যায়।

পরে বাড়িতে এসে ধর্ষিতা নারী তার পরিবারের লোকজনকে ধর্ষণের ঘটনাটি জানালে তার পরিবারের লোকজন স্থানীয় ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আবুল কাশেম – ইউপি সদস্যা শুসমা জাম্ভিল ও থানা পুলিশকে অবিহিত করলে দুপুরেই থানার এস আই এস আই শাহাদত হোসাইন অভিযান চালিয়ে রাজাই গ্রাম থেকে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে লম্পট রাশিদ মিয়াকে গ্রেফতার ।

বড়দল উত্তর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আবুল কাশেম এ বিষয়ে বলেন, সকালে আমার ইউপি সদস্যা শুসমা জাম্বিল আমাকে মোবাইল ফোনে জানিয়েছেন।

তাহিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল লতিফ তরফদার এর সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ধর্ষণের ঘটনার অভিযোগ পেয়েই সাথে সাথে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত রাশিদ মিয়াকে আটক করা হয়েছে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন