হোম অন্যান্যসারাদেশ গ্রেফতার ৫: অপহরণের পর হিমেলকে নেয়া হয় মেঘালয়ে, চলছে ডিবির উদ্ধার অভিযান

গ্রেফতার ৫: অপহরণের পর হিমেলকে নেয়া হয় মেঘালয়ে, চলছে ডিবির উদ্ধার অভিযান

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 131 ভিউজ

অনলাইন ডেস্ক:

প্রায় এক মাস আগে গাজীপুরের রাজেন্দ্রপুর থেকে অপহরণ করা হয় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী হাসিবুর রহমান হিমেলকে। অপহরণের পর তাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ভারতের মেঘালয়ে। সাত জেলায় অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয়েছে পাঁচ জনকে। এসব তথ্য জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) হারুন অর রশীদ।

সিঙ্গাপুর থেকে ডিবি প্রধান সময় সংবাদকে জানান, এ ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে বাংলাদেশ এবং ভারতীয় চক্রটিকে শনাক্ত করা হয়েছে। এরপর সাত জেলায় অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয়েছে পাঁচ জনকে। খুব শিগগিরই উদ্ধার করা হবে ভিকটিমকে ।

তিনি আরও বলেন, অপহরণের পর হিমেলকে নিয়ে যাওয়া হয় ভারতের মেঘালয়ে। সেখানে দিনের পর দিন তাকে আটকে রেখে করা হচ্ছে নির্মম নির্যাতন। নির্য়াতনের ভিডিও ফুটেজ পাঠিয়ে পরিবারের কাছে দাবি করা হয় দুই কোটি টাকা মুক্তিপণ।

গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে নির্যাতন করা হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী হিমেলকে এমন ভিডিও চিত্র উদ্ধার করা হয়েছে চক্রটির কাছ থেকে। প্রাণে বাঁচতে মায়ের কাছে আকুতির শেষ নেই ভুক্তভোগীর এমন ফুটেজ আমরা সংগ্রহ করেছি।

ডিবি জানায়, গাজীপুরের রাজেন্দ্রপুর থেকে অপহরণ করে হিমেলকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ভারতের মেঘালয়ে। সেখানকার পাহাড়ি এলাকায় রেখে তাকে প্রায় এক মাস ধরে করা হচ্ছে নির্মম নির্যাতন। দুই কোটি টাকা মুক্তিপণ দাবি অপহরণকারীরা। একের পর এক পাঠানো হচ্ছে নির্যাতনের ভিডিও। শুধু হাসিবুর রহমান হিমেল নয়, অপহরণকারীদের হাতে জিম্মি একাধিক ভিকটিমের নির্যাতনের ফুটেজও পাঠানো হচ্ছে ভয় দেখানোর জন্য।

ভুক্তভোগীর পরিবার থেকে জানানো হয়েছে, গত বছরের ডিসেম্বরের ২৬ তারিখ ভোরে রাজধানীর উত্তরার বাসা থেকে নিজের প্রাইভেটকারযোগে চালক সামিদুলকে নিয়ে ব্যবসায়িক কাজে শেরপুরের উদ্দেশে রওয়ানা হন হাসিবুর। সকাল সাড়ে ১১টা থেকে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। অনেক খোঁজাখুঁজির পর ছেলেকে না পেয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন তার মা। এরইমধ্যে একাধিক ভারতীয় মোবাইল নম্বরের হোয়াটসঅ্যাপ থেকে হাসিবের মায়ের ফোনে আসে অপরহরণকারীর কল। দাবি করা ২ কেটি টাকা মুক্তিপণ।

শুরু থেকেই এ ঘটনার ছায়া তদন্ত করতে থাকে ডিবির লালবাগ বিভাগ। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তা ঢাকা ও গাজীপুর থেকে শুরু করে ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, সুনামগঞ্জে শুরু হয় অভিযান। গুরুত্বপূর্ণ ক্লু পায় ডিবি। অপহরণকারী চক্রের বাংলাদেশি হোতাদের শনাক্ত করা হয়। গ্রেফতার করা হয় দুই নারীসহ এ ঘটনার অন্যতম পরিকল্পনাকারী মাসুদকে। গ্রেফতার দুই নারী অপহরণ চক্রের মূল দুই হোতার স্ত্রী। পাশাপাশি চলতে থাকে ভারতের পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ। মেঘালয়ের পাহাড়ি এলাকায় অভিযান চালিয়ে উদ্ধার করা হয় ভিকটিমের কিছু জিনিসপত্র। সেখানকার পুলিশ ভারতীয় একজনকে গ্রেফতারের পর মেলে আরও গুরুত্বপূর্ণ তথ্যও বলে জানান ডিবি প্রধান।

এদিকে পুলিশের এলিট ফোর্স র‌্যাবও দুইজনকে গ্রেফতার করে হিমেলকে উদ্ধারে অভিযান চালাচ্ছে বলে জানান ডিবি প্রধান।

এদিকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের একটি টিম সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে অভিযান চালিয়ে সুনামগঞ্জের পুলিশের সহায়তা অপহরণের সঙ্গে সরাসরি জড়িত দুইজনকে গ্রেফতার করেছে। তাদের কাছ থেকে অপহরণের শিকার হাসিবের অবস্থান সম্পর্কে তথ্য পাওয়ার দাবি করেছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (লালবাগ বিভাগ) উপপুলিশ কমিশনার মশিউর রহমান।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন