অনলাইন ডেস্ক :
খুলনায় বিএনপির বিক্ষোভ-সমাবেশ ঘিরে দলীয় নেতাকর্মীর সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসময় পুলিশ লাঠিচার্জ, টিয়ার শেল নিক্ষেপ ও গুলি চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে ৩০ জন আহত হয়েছেন বলেও দাবি করেছেন খুলনা মহানগর বিএনপির আহ্ববায়ক। আজ শুক্রবার (১৯ মে) বিকেল ৪টায় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর উপস্থিতিতে খুলনা প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশের চেষ্টা করলে এই ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, নগরীর স্যার ইকবাল রোড থেকে ফুল মার্কেট পর্যন্ত প্রায় ৪০ মিনিট মিনিট বিএনপির নেতাকর্মী ও পুলিশের মধ্যে ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়া চলে। একপর্যায়ে পুলিশের টিয়ার শেল নিক্ষেপ ও লাঠিচার্জ শুরু করলে বিএনপির কেন্দ্রীয় এবং স্থানীয় নেতাকর্মীরা প্রেসক্লাবের ভেতরে আশ্রয় নেন। পরে পুলিশ সেখানে গিয়ে বেধড়ক লাঠিচার্জ ও কয়েকজনকে আটক করে নিয়ে যায়।
মহানগর বিএনপি আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট শফিকুল আলম মনা জানান, তাঁরা কেন্দ্রীয় কর্মসূচি পালনের জন্য চারটি স্থানের নাম দিয়ে আবেদন করেছিলেন, কিন্তু পুলিশ অনুমতি দেয়নি। পরে প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ শুরু করলে পুলিশ হামলা চালায়। তাঁর দাবি, এই ঘটনায় বিএনপির ৩০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
এদিকে, আজ দুপুরের পর থেকে খুলনা প্রেসক্লাবের আশপাশে বিপুল পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) ডিসি (সাউথ) তাজুল ইসলাম জানান, বিএনপিকে খুলনা প্রেসক্লাবের ব্যাংকুয়েট হল রুমে সভা করার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, বিকেল ৪টার দিকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসুরু মহামুদ চৌধুরী এসে খুলনা প্রেসক্লাবের সামনের সড়কে সমাবেশ শুরু করেন। এ সময় আশপাশের বিএনপির নেতাকর্মীরা সেই সমাবেশে যোগ দিয়ে পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘সমাবেশ করা তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার। সারা দেশে উন্মুক্ত স্থানে সমাবেশ হলে খুলনায় হতে পারবে না কেন?’