কুমিল্লা প্রতিনিধি:
কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার রায়কোট উত্তর ইউনিয়নের ছুপুয়া গ্রামে ১৪ বছর বয়সী এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে শেখ ফরিদ নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেন ভিকটিমের মা। ভিকটিম স্হানীয় হাফেজী মাদ্রাসার শিক্ষার্থী।ধর্ষক শেখ ফরিদ ছুপুয়া গ্রামের নুর ইসলাম ভান্ডারীর ছেলে,সে দুই সন্তানের জনক। গত ১৭ ডিসেম্বর রাত ৮ টার দিকে আসামীর বাড়ীর খড়ের গাদার পাশে এ ঘটনা ঘটে।গত ১৯ ডিসেম্বর নাঙ্গলকোট থানায় মামলা দায়ের করেন ভিকটিমের মা।
স্থানীয় ও মামলা সূত্রে জানা যায়,ঘটনার দিন রাত ৮ টার দিকে ওই কিশোরীকে ধর্ষক শেখ ফরিদ (৩৫) তার স্ত্রী ডাকতেছে বলে নিজ ঘর থেকে ডেকে নিয়ে ধর্ষকের খড়ের গাদার কাছে নিয়ে হাত বেধে মূখে কাপড় গুজে ধর্ষণ করে।এসময় ওই কিশোরী অজ্ঞান হয়ে পড়ে। জ্ঞান ফিরলে ঘটনা কাউকে বললে হত্যার হুমকি দেয়। পরদিন মাদ্রাসা যেতে বললে কান্নাকাটি করতে থাকে ও পেটে ব্যাথা বলে জানায়। এক পর্যায়ে বিষয়টি তার মাকে জানায় তার মা গ্রামের সর্দার মাতব্বরকে বিষয়টি জানায় পরদিন ভিকটিমের মা বাদী হয়ে থানায় একটি ধর্ষণের মামলা দায়ের করলে।পুলিশ ভিকটিমের ডিএনএ নমূনা সংগ্রহ করে।ও ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে ঘটনার বর্ণনা দেন।ঘটনা জানাজানি হলে ধর্ষক শেখ ফরিদ বাহারাইন পালিয়ে যায় বলে গুজব ছড়ায়।
ভিকটিমের মা রোববার সাংবাদিকদের বলেন,ঘটনার দিন রাতে আমার মেয়ে খাওয়া দাওয়া না খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ে।পরদিন সকালে মাদ্রাসা যেতে বললে কান্নাকাটি করে।তার পেটে ব্যাথা করতেছে,তখন সে বলে পাশের বাড়ীর শেখ ফরিদ তার মেয়েকে তার স্ত্রী ডেকেছে বলে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে তাদের খড়ের গাদার কাছে নিয়ে মূখে কাপড় গুজিয়ে হাত বেঁধে ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে আমার মেয়ে অজ্ঞান হয়ে যায় ।জ্ঞান ফিরলে শেখ ফরিদ ঘটনাটি কারো কাছে বললে তাকে হত্যার করে ফেলবে বলে হুমকি দেয়।
এবিষয়ে নাঙ্গলকোট থানার অফিসার ইনার্চাজ(ওসি) দেবাশীষ চৌধুরী বলেন,এঘটনায় ভিকটিমের মা বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।ভিকটিমকে ডাক্তারী পরীক্ষা করানো হয়েছে।আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যহৃত আছে।বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার খবরটি সত্যতা নিশ্চিত করতে ইতিমধ্যে ইমিগ্রেশনে তথ্য চাওয়া হয়েছে।