কালিগঞ্জ প্রতিনিধি:
কালীগঞ্জে বিজ্ঞ আদালতের নিষেধাজ্ঞাকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে এক কলেজ শিক্ষকের জমি রাতারাতি দখলের পাঁয়তারা। ঘটনাটি ঘটেছে গত ৩ ডিসেম্বর রাত আনুমানিক ৮ টার সময় সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার নলতা ইউনিয়নের বিল কাজলা গ্রামে। দখল করতে না পেরে উল্টো সংখ্যালঘুর নাম ভাঙ্গিয়ে ওই কলেজ শিক্ষককে হয়রানি বেকায়দায় ফেলতে নানামুখী ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে প্রতিপক্ষরা।
বুধবার বেলা ১১ টার সময় সরেজমিনে গেলে জানা যায়, কালিগঞ্জ উপজেলার বিল কাজলা মৌজার এস,এ ২ পরে ১ খতিয়ানের ১৮৬ দাগে ১৯.৬৫ একর জমি সরকারের অনুকূলে থাকে। উক্ত জমি হতে ১.৫০ একর জমি গত ২১/১২ /১৯৮৫ ইং তারিখে ৬২৩৫ নং রেজিস্ট্রি কবুলিয়াতের ৭ দফা শর্ত মোতাবেক ১৫ বছর অতিক্রান্ত হওয়ায় আব্দুর রউফ গং ১.৫০ একর সহ ২.৬৩ একর জমি গত ১৮/১/২০১১ ই; তারিখে ৩৫৭ নং রেজিস্ট্রি কোবলায় বিল কাজলা গ্রামের মৃত বদিউল্লা গাজীর পুত্র কাজী আলাউদ্দিন কলেজের প্রভাষক নজরুল ইসলাম, ইসহাক,গাজী শহিদুলইসলাম এর নামে হস্তান্তর করেন। সেই থেকে জমি নজরুল গংরা শান্তি পূর্ণ ভাবে ভোগ দখলে আছে। উক্ত জমি হতে রাস্তার ধারের ১০ শতক জমি বাগদা চিংড়ির রেনু নার্সিং ব্যবসা করার জন্য বছরে ৭ হাজার টাকা হারি চুক্তিতে পূর্ব নলতা গ্রামের মৃত ফজলুর রহমান পাড়ের পুত্র নলতা মাধ্যমিক বিদ্যালয় এর প্রধান শিক্ষক আব্দুল মোনায়েম এর নিকট ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি হতে ২০২২ সালের ৩১ শে ডিসেম্বর পর্যন্ত দু’ বছরের জন্য লিজ প্রদান করেন। কিন্তু শর্ত ভঙ্গ করায় বিষয়টি নিয়ে প্রভাষক নজরুল ইসলাম গত ১/২৪/ ২০২৩ ইং তারিখে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। বিষয়টি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার উপর প্রভাব বিস্তার করলে তিনি অপারগতা প্রকাশ করেন।
পরবর্তীতে শর্ত ভঙ্গ করে মাস্টার মোনায়েম তার ব্যবসায়ী পার্টনার কাজলা গ্রামের চিত্ত সরকারের পুত্র রবীন্দ্রনাথ সরকারের নিকট সাব লিজ প্রদান করে ।উপায়ান্তর না পেয়ে কলেজ শিক্ষক নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে কালিগঞ্জ। সহকারি জজ আদালত গত ২১/১/২০২৩ ইং তারিখে দেওয়ানী ২৮ /২৩ (কালী) একটি মামলা দায়ের করে। এ ছাড়াও জমির হারির টাকা না দেওয়ায় সাতক্ষীরা জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে গত ৫৩ /২০২৩ ই; (কালী) রবীন্দ্রনাথ এর নামে সি আর ১৩৪ /২৩ (কালী) প্রতারণার মামলা দায়ের করে। উক্ত মামলায প্রতারক রবীন্দ্রনাথ নাথ সরকার ১ মাস জেল হাজত বাস করে গত কিছুদিন আগে জামিনে বাড়িতে এসে আবারো দখলের পাঁয়তারা করতে থাকে এতে ব্যর্থ হয়ে সংখ্যালঘু নির্যাতনের মিথ্যা অপপ্রচার ছড়িয়ে সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।