হোম অন্যান্যসারাদেশ ইবি শিক্ষার্থী হিসেবে প্রথমবারের মতো বাংলা চ্যানেল পাড়ি দিবেন মুসা

ইবি প্রতিনিধি:

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থী হিসেবে প্রথমবারের মতো বাংলা চ্যানেল পাড়ি দিতে যাচ্ছেন মুসা হাসেমী। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের আল-ফিকহ অ্যান্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। এছাড়াও তিনি লালন শাহ হলের আবাসিক শিক্ষার্থী।

আগামী ৩০ নভেম্বর অনুষ্ঠিতব্য বাংলা চ্যানেলের ১৮ তম আয়োজনে টেকনাফের শাহ পরীর দ্বীপ থেকে সেন্টমার্টিন দ্বীপ পর্যন্ত ১৬.১ কিলোমিটার সাঁতার কেটে বাংলা চ্যানেল পাড়ি দেবেন তিনি। ‘ষড়জ অ্যাডভেঞ্চার’ ও ‘এক্সট্রিম বাংলা’ আয়োজিত এই আসরে দেশ- বিদেশের ৩৬ জন সাঁতারু অংশ নেবেন।

বাংলা চ্যানেল পাড়ি দিতে আগামী রোববার (২৬ নভেম্বর) বিকেল ৪ টায় ক্যাম্পাস থেকে টেকনাফের উদ্দেশ্যে বের হবেন মুসা। সেখানে ২৮ ও ২৯ তারিখ প্র‍্যাক্টিস সেশনে অংশ নেবেন তিনি। এদিকে, আল-ফিকহ এন্ড লিগ্যাল স্টাডিজ এলামানাই এসোসিয়েশন এবং হক ‘ল’ একাডেমির স্পন্সরে এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেবেন তিন।

প্রথম বারের মতো বাংলা চ্যানেল পাড়ি দিতে যাওয়া মুসা হাসেমী জানান, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রথম বাংলা চ্যানেল পাড়ি দিতে যাচ্ছি। এটা পাড়ি দিতে হলে আমাকে কোন ধরণের সাপোর্ট বা সহায়তা ছাড়াই প্রায় ৫ ঘন্টা টানা সাতার কাটতে হবে। এর আগে আমি রাজশাহীতে ২০ কিলোমিটার পদ্মা নদীতে সুইমিং করেছিলাম। বাংলা চ্যানেল বিজয় করে উদযাপনের সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা জাতির সামনে তুলে ধরতে চাই।

ক্যাম্পাসে সুইমিং বা সাঁতার কাটার জন্য পর্যাপ্ত সুবিধা না থাকায় ক্যাম্পাস থেকে ৩.৫ কিলোমিটার দূরে পিয়ারপুর কুমার নদে নিয়মিত প্র্যাকটিস করতেন তিনি।

প্রসঙ্গত, মুসা হাসেমী ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় রোভার স্কাউট গ্রুপের ইউনিট কাউন্সিল সভাপতি হিসেবে কর্মরত আছেন। এছাড়াও তিনি মুক্তিযুদ্ধে আত্মত্যাগকারী শহীদদের উদ্দ্যেশ্যে ক্যাম্পাস-কুষ্টিয়া ২২ কিলোমিটার দৌড়, খুলনা হাফ ম্যারাথন, রাজশাহী হাফ ম্যারাথন, সিরাজগঞ্জ হাফ ম্যারাথন ও রাজশাহী ২০ কিলোমিটার পদ্মা সুইমিং সহ বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় কৃতিত্বের সাথে অংশগ্রহণ করেছেন।

উল্লেখ্য, ২০০৬ সালের জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝি একটি দল তাঁর প্রশিক্ষণ ও উৎসাহে শাহপরীর দ্বীপ থেকে বঙ্গোপসাগরে ১৬.১ কিলোমিটার সাঁতার পৌঁছায় সেন্টমার্টিন দ্বীপে। আন্ডারওয়াটার ফটোগ্রাফার ও স্কুবা ডাইভার কাজী হামিদুল হক ছিলেন এ দলের দলনেতা। তিনি সাঁতারের এ পথের নামকরণ করেন ‘বাংলা চ্যানেল’। ২০০৬ সাল থেকে প্রতি বছর বাংলা চ্যানেলে নিয়মিত বাংলা চ্যানেলে সাঁতার আয়োজিত করে আসছে বাংলাদেশের সাঁতারু ও সাঁতারপ্রেমীরা।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন