আশাশুনি (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি :
আশাশুনির শ্রীউলা ইউনিয়নের হত্যা চাঁদাবাজি জবরদখল ও লুটপাটের লাকি বাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ড শীর্ষ সন্ত্রাসী হাসান এখন পুলিশের খাচায় বন্দি। তার গ্রেফতারের খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে সবস্তরের মানুষের মধ্যে স্বস্তির নিশ্বাস ফিরে আসে। তারা বলছে এবার সন্ত্রাসীর গডফাদার লাকিকে পুলিশের খাচায় বন্দি দেখার জন্য অধির আগ্রহে অপেক্ষা করছেন ঐ ইউনিয়নের শান্তি প্রিয় হাজার হাজার মানুষ।। মামলা ও সাধারণ মানুষের ভাষ্য অনুযায়ী জানা গেছে। শ্রীউলা গ্রামে মৃত বাবর আলী সরদারের ছেলে আনুঃ চার থেকে পাঁচ বছর আগে শ্রীউলাসহ পাশ্ববর্তী ইউনিয়নে সংখ্যালঘু ও সহজ সরল নিরিহ ঘের ব্যবসায়ীদের নিকট থেকে জোরপূর্বক চাঁদা আদায় করে লাকি নামের একটি বাহিনী গড়ে তোলে।
উক্ত বাহিনী কর্তৃক হামলা মামলা ইউনিয়নটির নিত্য দিনের সঙ্গী হয়ে দেখা দিয়েছে। তাদের এহেন জঘন্য কর্মকান্ডে কেহ প্রতিবাদ করলে তারা জানমাল হারাবার ভয়ে দিশেহারা হয়ে পড়ে তারা। এমনি অবস্থার মধ্যে লাকি বাহিনীর তান্ডবে অতিষ্ট শ্রীউলা ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষ। সম্প্রতি লাকি বাহিনীর লোকেরা পুঁইজালা মৎস্যসেটে চাঁদাবাজি করতে গেলে বিষয়টি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শাকিলকে অবহিত করেন। তাদের ধরতে মহিষকুড় অস্থায়ী কার্যালয়ের সামনে স্থানীয় গ্রাম পুলিশ কোহিনুর, রফিকুল সহ এলাকার জনগন তাদের বাঁশ দিয়ে মটরসাইকেল গতিরোধ করার চেষ্টা করলে অস্ত্র উচিয়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে। এরপর ইউপি চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে প্রবেশ করে শাকিলের উপর বর্বোরোচিত হামলা শুরু করে লুটপাট ভাংচুর করে। এতে খ্যান্ত হয়নি তারা যাবার বেলায় রাধারআইট গ্রামের মৃত ছোবহান গাজীর ছেলে রুস্তম গাজীকে তাদের হাতে থাকা অস্ত্র দিয়ে মাথায় ও সর্ব শরীরে কোপ মারিয়া রক্তাক্ত জখম করে মুমূর্ষ অবস্থায় রাস্তার উপর ফেলে চলে যায়। রুস্তম এখন পঙ্গুত্ব অবস্থায় ঢাকা থেকে ফিরে এসে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে।
তার পরিবার এখন অনাহারে পানি বন্দি অবস্থায় জীবন যাপন করছে। উক্ত মামলার অন্যতম আসামী হাসান জামিন না দিয়ে আদালত থেকে জামিন পেয়েছি মর্মে এলাকায় প্রচার করেন। বিষয়টি মামলার বাদি চেয়ারম্যান শাকিল জানতে পেরে আশাশুনি থানাকে অবহিত করলে থানা পুলিশ গতকাল রাতেই বিশেষ অভিযান চালিয়ে শীর্ষ সন্ত্রাসীর অন্যতম নেতা হাসানকে গ্রেফতার করেন। এ ব্যাপারে মামলার বাদি চেয়ারম্যান শাকিলের সাথে কথা হলে তিনি বলেন আমার ইউনিয়নটি অত্যান্ত শান্তিপ্রিয় ইউনিয়ন ছিল। গত ৫ বছর যাবত আমার এলাকার ঘের ব্যবসায়ীদের নিকট থেকে হামলা মামলার ভয় দেখিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে ঐ বাহিনীর প্রধান। তাদের টাকা না দিলে রাতে মৎস্য ঘেরে যেতে পারে না এলাকার অসংখ্য ঘের মালিক। এছাড়া আগামী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বড় ধরনের নাশকতার পরিকল্পনা করছে শীর্ষ সন্ত্রাসী ডজন খানেক মামলার আসামী লাকি ও তার দলবল বলে তিনি জানিয়েছেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত গ্রেফতারকৃত হাসানকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে বলে থানা সুত্রে জানা গেছে।