নড়াইল অফিস :
নড়াইল জেলা পরিষদ নির্বাচন (১৭ অক্টোবর) সোমবার অনুষ্ঠিত হবে । শনিবার (১৫ অক্টোবর) ছিল প্রচার প্রচারনার শেষ দিন। এদিন রাতে ১ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য প্রার্থী কালিয়া উপজেলার খান শাহিন সাজ্জাদ (পলাশ)এর প্রচারনা সময় তার লোকদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। হামলাকারিরা দুইটি প্রাইভেটকার ভাঙচুর করে। এই হামলার ফলে সদস্য জেলা পরিষদ সদস্য প্রার্থী খান শাহিন সাজ্জাদ (পলাশ) এর গাড়িচালক জামাল হোসেন (৪২) আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। হামলার ঘটনায় নড়াইল -১ আসনের এমপি কবিরুল হক মুক্তিসহ ৩৪ জনের নাম উল্লেখ করে কালিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ১৭ অক্টোবর (সোমবার) নড়াইল জেলা পরিষদ নির্বাচনে কালিয়া উপজেলার ১ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য প্রার্থী খান শাহিন সাজ্জাদ (পলাশ) নির্বাচনী প্রচারণার শেষ দিন শনিবার (১৫ অক্টোবর) তার অনুসারীদের নিয়ে ভোটারদের উদ্দেশ্যে প্রচারণা চালান। প্রচারণা শেষে রাত সাড়ে ১০টার দিকে কালিয়া পৌর ভবনে আসেন। এসময় পৌর ভবনের ভীতরে পৌর মেয়র ওয়াহিদুজ্জামান হিরা, উপজেলা চেয়ারম্যান কৃষ্ণ পদ ঘোষ, সালামাবাদ ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান শামীম আহমেদ, খান শাহিন সাজ্জাদ (পলাশ)সহ অন্যান্যরা বসেছিলেন।
আকস্মিকভাবে সংঘবদ্ধ হয়ে কিছু লোক এসে হামলা চালিয়ে পৌর ভবনের সামনে থাকা দুইটি প্রাইভেটকার ভাঙচুর করে। হামলার সময় খান শাহিন সাজ্জাদ (পলাশ)এর গাড়িচালক জামাল হোসেন (৪২) আহত হন।
এ বিষয়ে কালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ তাসমিম আলম বলেন, বিষয়টি জানতে পেরে তাৎক্ষণিক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সালামাবাদ ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান শামীম আহমেদ ৩৪জনের নাম উল্লেখ করে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। জেলা পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে কোন ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করলে দোষীদের আইনের আওতায় আনা হবে বলেও তিনি জানান।
নড়াইল ১ আসনের এমপি কবিরুল হক মুক্তি বলেন,শুনেছি রাতের আধারে পৌর ভবনে ভোট কেনা বেচা হচ্ছিল । ভোট বেচা কেনা নিয়ে কোন ঝামেলা হতে পারে এর থেকে বেশী কিছু জানিনা ।