জাতীয় ডেস্ক :
লালমনিরহাটের আদিতমারীতে দেশীয় অস্ত্রসহ ১০টি মোটরসাইকেল মহড়া দেওয়ার সময় অস্ত্রসহ ৪ যুবককে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয়রা। শুক্রবার (০৬ মে) মধ্যরাতে উপজেলার সারপুকুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে লালমনিরহাট বুড়িমারী মহাসড়ক থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন- উপজেলার সারপুকুর ইউনিয়নের সরলখাঁ গ্রামের একরামুল হকের ছেলে বিড়ি শ্রমিক আজিজুল ইসলাম (২০), একই গ্রামের আব্দুল কাদেরের ছেলে মাসুদ রানা (১৮), লালমনিরহাট সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ ইউনিয়নের কালমাটি আনন্দবাজার এলাকার মশিউর রহমানের ছেলে ফরিদুল ইসলাম (১৮) ও একই গ্রামের হামিদার রহমানের ছেলে জিয়াদ হোসেন (১৮)।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, উপজেলার সারপুকুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে দেড় মাস আগে সরলখাঁ গ্রামের আশরাফ আলীর ছেলে সাজ্জাদের (১৫) সঙ্গে বিবাদ হয় পাঠানটারী গ্রামের শাহ আলমের ছেলে জালাল উদ্দিন ওয়াশিমের (১৫)। এরই জের ধরে শুক্রবার রাতে সাজ্জাদের নেতৃত্বে ১০টি মোটরসাইকেলের বহরে দেশি অস্ত্র হাতে ৩০ থেকে ৩৫ জন যুবক পাঠানটারী এলাকায় এসে ওয়াশিমের বড় ভাই জসিমকে মহাসড়কে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে রামদা দিয়ে কোপ দেয় সন্ত্রাসীরা। বিষয়টি বুঝতে পেয়ে ওয়াশিম চিকিৎকার দিয়ে দৌড়ে পালিয়ে গিয়ে রক্ষা পায়।
স্থানীয়রা ছুটে এসে একটি রামদা, ৪টি রড ও কিছু লাঠিসহ ৪ জনকে আটক করে। বাকিরা পালিয়ে যাবার পথে ওই মহাসড়কে পাশে বসে থাকা পাঠানটারী এলাকার মজিদের ছেলে প্রিন্সিকে (১৫) জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। স্থানীয়রা বিষয়টি বুঝতে পেয়ে পেছনে ধাওয়া করলে দেড় কিলোমিটার দূরে গিয়ে প্রিন্সকে ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায় তারা।
পরে স্থানীয়দের খবর পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে এবং অস্ত্রসহ আটক ৪ যুবককে থানায় নিয়ে আসে। এ ঘটনায় শাহ আলম বাদী হয়ে ৫ জনের নামসহ অজ্ঞাত ৩০ থেকে ৩৫ জনের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
আদিতমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি)মোক্তারুল ইসলাম জানান, স্থানীয়দের খবরে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে ৪ জনকে আটক করা হয়েছে। অভিযোগও পেয়েছি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
