সংকল্প ডেস্ক :
ঈদুল ফিতরের পরের দিন আজ মঙ্গলবার রাজধানীর চিড়িয়াখানায় ছিল হাজার হাজার মানুষের ঢল। এদিন সকাল থেকেই চিড়িয়াখানায় ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।
রাজধানীর মিরপুর জাতীয় চিড়িয়াখানার সামনে ও ভেতরে আজ সকাল থেকে ভিড় থাকলেও দুপুরের পর জনসমুদ্রে রূপ নেয়। অনেককে ভিড়ের কারণে ভেতরে প্রবেশ না করে ফিরে যেতেও দেখা যায়। এমনকি ভিড়ের কারণে আজ ৬৫ জন শিশু হারিয়ে যায়। তবে পরে তাদের খোঁজ মিলেছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
এদিকে যারা চিড়িয়াখানায় এসেছেন তারা বানর, ভাল্লুক, বাঘ, সিংহ, হাতি, জিরাফ, জেব্রা, হরিণ, সাদা হাঁস, উটসহ বেশ কয়েকটি সেডের সামনে ভিড় করেছেন। আবার তাদের কেউ কেউ প্রাণিদের খাবার দিচ্ছেন। মোটকথা ঈদের আনন্দটা সপরিবারে কাটাতে অনেকেই বেছে নিয়েছেন চিড়িয়াখানা। বিশেষ করে শিশুরা বেশি আনন্দ পাচ্ছে বিভিন্ন পশু ও প্রাণিদের দেখে।
রিপন মিয়া নামের এক দর্শনার্থী বলেন, এবার ঈদে বাড়ি যাওয়া হয়নি। পরিবারের ছোট ছেলে-মেয়েদের আনন্দ দেওয়ার জন্য চিড়িয়াখানায় এসেছি। চিড়িয়াখানা আগের চেয়ে অনেক সুন্দর হয়েছে।
টিপু নামের আরেকজন বলেন, ঈদের ছুটিতে সময় কাটানোর জন্য চিড়িয়াখানায় এসেছি। এখানে পশুগুলো দেখলে মন ভালো হয়ে যায়। চিড়িয়াখানার পরিবেশ আগের চেয়ে অনেক ভালো। পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতার দিকে নজর দিয়েছেন কর্তৃপক্ষ।
এদিকে, ১৮৬ একর জায়গা নিয়ে তৈরি জাতীয় চিড়িয়াখানায় বর্তমানে আট প্রজাতির ৩৮টি মাংসাশী প্রাণি, ১৯ প্রজাতির বড় প্রাণি (তৃণভোজী) ২৭১টি, ১৮ প্রজাতির ক্ষুদ্র স্তন্যপায়ী ১৯৮টি প্রাণি রয়েছে। ১০ প্রজাতির সরীসৃপ ৭২টি, ৫৬ প্রজাতির ১ হাজার ১৬২টি পাখি, অ্যাকুরিয়ামে রক্ষিত মাছ প্রজাতির মধ্যে ১৩৬ প্রজাতির ২ হাজার ৬২৭টি প্রাণি। চিড়িয়াখানায় ১৩৭টি খাঁচায় এসব প্রাণিদের রাখা হয়েছে।
চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, ঈদের দিন দর্শনার্থীও হয়েছে প্রায় ৪০ হাজার। বর্তমানে প্রতিটি টিকিটের মূল্য নেওয়া হচ্ছে ৫০ টাকা। ঈদের দিন ২০ লাখ টাকার বেশি আয় হয়েছে। ঈদ উপলক্ষে চিড়িয়াখানায় সাত ভাগে ভাগ হয়ে ৬৪ জন কাজ করছেন। দর্শনার্থীদের নিরাপত্তায় কাজ করছে পুলিশ, ট্যুরিস্ট পুলিশ, র্যাব ও আনসার বাহিনী।