বাণিজ্য ডেস্ক :
বাংলাদেশের বাণিজ্য পণ্য পরিবহনের জন্য কলম্বো বন্দরকে আরও বেশি ব্যবহারের প্রস্তাব দিয়েছেন শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতি গোটাবায়া রাজাপাকসে।
বুধবার (৩০ মার্চ) কলম্বোতে শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতি গোটাবায়া রাজাপাকসের সঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন সাক্ষাতকালে এ প্রস্তাব দেওয়া হয়। এসময় বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলন সফলভাবে আয়োজনের জন্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতিকে অভিনন্দন জানান।
সাক্ষাতকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী চট্টগ্রাম ও কলম্বো বন্দরের মধ্যে নিয়মিত বাণিজ্যিক শিপিং লাইন ও ক্রুজ শিপিংয়ের মাধ্যমে বাণিজ্য বৃদ্ধি এবং পর্যটনের উন্নয়নে শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। এছাড়া দুই দেশের মধ্যে পর্যটন প্রসারের জন্য আরও এয়ার লাইনের সঙ্গে অংশগ্রহণে বর্ধিত বিমান সংযোগের সাশ্রয়ী এয়ার টিকিটের মূল্যের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
এ সময় শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতিকে বাংলাদেশের বাণিজ্য সম্ভাবনাকে পুরোপুরি কাজে লাগাতে যৌথ উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানান তিনি।
সেই সঙ্গে বাংলাদেশ থেকে আলুসহ ফার্মাসিউটিক্যালস ও কৃষিজাত পণ্য আমদানির সম্ভাবনা অন্বেষণ করার জন্য শ্রীলঙ্কান সরকারকে প্রস্তাব দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এ প্রসঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বৃদ্ধি ও সুবিধার্থে দ্বিপাক্ষিক অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তির দ্রুত সমাপ্তির অগ্রগতিকে স্বাগত জানান তিনি।
খাদ্য নিরাপত্তা, আইসিটি, স্বাস্থ্যসেবা এবং নীল অর্থনীতিসহ সহযোগিতার সম্ভাব্য নতুন ক্ষেত্রগুলো নিয়েও উভয়পক্ষ আলোচনা করেছে। পাশাপাশি দুই দেশের জনগণের বৃহত্তর সুবিধার জন্য এবং দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পৃক্ততা বৃদ্ধির জন্য সাময়িকভাবে বন্ধ থাকা দ্বিপাক্ষিক উপকরণগুলো নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি অনুমোদন প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করতে এবং সম্পূর্ণ করতে সম্মত হয়েছে।
রাষ্ট্রপতি রাজাপাকসে বিভিন্ন বহুপাক্ষিক ফোরামে অব্যাহত সমর্থনের জন্য বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানান এবং উভয় পক্ষ ভবিষ্যতে ঘনিষ্ঠভাবে একসঙ্গে কাজ করতে সম্মত হন।
তাছাড়া জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের নিরাপত্তা ও মর্যাদার সঙ্গে তাদের নিজ দেশে অবিলম্বে প্রত্যাবাসনের জন্য শ্রীলঙ্কার অব্যাহত সমর্থনের জন্য তার অনুরোধ পুনর্ব্যক্ত করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
এদিকে শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতি সন্ত্রাসবাদ ও সহিংস চরমপন্থা মোকাবিলায় বিশেষ মনোযোগ দিয়ে সম্মিলিত সমৃদ্ধির নীতির জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বের গভীরভাবে প্রশংসা করেছেন।
৪ মার্চ এ দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর উদযাপনে উভয় পক্ষ সন্তোষ প্রকাশ করেছে।
উল্লেখ্য, ১৮তম বিমসটেক মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক এবং ৫ম বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনের জন্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী বর্তমানে শ্রীলঙ্কায় অবস্থান করছেন। তিনি ৩১ মার্চ ঢাকায় ফিরবেন।