হোম অন্যান্যসারাদেশ গভীর চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র মুলক অভিযোগে আশাশুনি মুক্তিযোদ্ধাদের উপস্থিতিতে চেয়ারম্যান ডালিমের পিতার তদন্ত সম্পন্ন

আশাশুনি প্রতিনিধি :

আশাশুনি উপজেলার খাজরা ইউনিয়নে ৬০জন মুক্তিযোদ্ধার উপস্থিতিতে চেয়ারম্যান ডালিমের পিতা মৃত মোজাহার উদ্দীন সরদারের তদন্ত কাজ সম্পন্ন করেছে উপজেলা প্রশাসন। গতকাল দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুল হোসাইন খানের কার্যালয়ে এ তদন্ত অনুষ্ঠিত হয়েছে । তবে অনুরুপ ভাবে পৃথক পৃথক তদন্ত কাজ শেষ হয়েছে বলে জানা গেছে।

খাজরা ইউনিয়নের একাধিকবার আওয়ামীলীগের চেয়ারম্যান আলহাজ্জ্ব শাহনেওয়াজ ডালিমের পিতাকে নিয়ে প্রতিপক্ষ আগামী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করছে। প্রতিপক্ষরা বিভিন্ন সময় হয়রানী মুলক মানব বন্ধন, প্রেস কনফারেন্স ও মিথ্যা প্রতিবেদন প্রকাশ করে আসছে। সর্বশেষ তারা এতেও ক্ষ্যান্ত না হয়ে অবশেষে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রনালয়ে তার পিতাকে রাজাকার বলে ব্যাখ্যা দিয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযোগটি আমলে নিয়ে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক বরাবর তদন্ত সাপেক্ষে একটি চিঠি ইন্স্যুকরা হয়েছে। চিঠি ইন্স্যুর পর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দেন। সে মোতাবেক গত ২৬ ও ২৭ সেপ্টেম্বর উভয় পক্ষের বক্তব্য নিয়ে তদন্ত সম্পন্ন করেছেন বলে জানা গেছে।

এ দিকে মুক্তিযোদ্ধা দিনেশ এর নেতৃত্বে বিশ জনের অধিক মুক্তিযোদ্ধারা আশাশুনি প্রেসক্লাবে এক প্রেস ব্রিফিং-এ বলেন বিগত ২০১০সালে ৫২জন মুক্তিযোদ্ধারা তাদের প্রত্যায়ন পত্রে বলেছেন- চেয়ারম্যান ডালিমের পিতা রাজাকর নয়। এর মধ্যে আজকের প্রতিপক্ষ তৎকালীন ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা রুহুল কুদ্দস মোল্যার ০২নং ক্রমিকে মৃত মোজাহার উদ্দীন স্বাধিনতার স্বপক্ষের মানুষ বলে স্বাক্ষর করেছে।

তারা আরও বলেন চেয়ারম্যানের পিতা একজন স্বাধীনতা স্বপক্ষের ব্যক্তি ছিলেন। মুক্তিযোদ্ধা চলাকালীন সময়ে হেতাইলবুনিয়া নামক ক্যাম্পে মুক্তিযোদ্ধাদের আর্থিক সহযোগিতা করেছেন। তার পিতাকে রাজাকার বললে যারা স্বাধিনতা যুদ্ধে প্রাণ দিয়েছে সেই সমস্ত বীর শহীদদের পরিবার কষ্ট পাবে।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে বক্তব্য নেওয়ার জন্য বার বার চেষ্টা করা হলেও এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হইনি। যে ব্যক্তি মুক্তিযুদ্ধের সময় বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করেছেন তাকে শত্রুতার খাতিরে আর যাইহোক রাজাকার বলে অসম্মান করা যায় না। শত্রুতার খাতিরে শত্রুতা নয় ও বিরোধিতার নয়। গভীর ষড় যন্ত্র ও চক্রান্ত মুলক অভিযোগ প্রত্যাহারের জোর জানিয়েছেন ইউনিয়নবাসী।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন