নিজস্ব প্রতিনিধি :
সাতক্ষীরার বল্লী মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে গৌতম রায় নামের এক ব্যক্তিকে ৪ বার টিকা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। টিকা প্রদানকারী স্বাস্থ্য সহকারীর নাম নাজমুন নাহার। তিনি সদর উপজেলার বল্লী ইউনিয়নে কর্মরত। টিকা গ্রহনকারী গৌতম রায় সদর উপজেলার আমতলা গ্রামের ভজহরী রায়ের ছেলে।
সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে এসে গৌতম রায় জানান, তিনি গণটিকা দিতে সকালে বল্লী মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে যান। পরে তাকে পরপর চারবার টিকা দেওয়া হয়। টিকার পুরো বোতল দেওয়ার জন্য তাকে এভাবে টিকা দিচ্ছে বলে তিনি মনে করেছিলেন। পরে বুঝতে পেরে ভয় পেয়ে যাই।
সাতক্ষীরার সিভিল সার্জন ডা. হুসাইন শাফায়েত জানান, গৌতম রায়কে আমি ডেকে পাঠিয়েছিলাম। তার হাতের ওপরের দিকে তিনটা দাগ আমি দেখতে পেয়েছি। টিকার পুরো বোতল শেষ করার জন্যই গৌতম চারটি টিকা নিয়েছেন বলে দাবি করেছেন। এছাড়া টিকাপ্রদানকারি তাকে পরপর টিকা দিচ্ছেন বলে তিনি আপত্তিও করেননি।
সিভিল সার্জন আরও জানান, এই ঘটনায় তদন্ত করে জানা গেছে,তাকে একবারই টিকা দেওয়া হয়েছে। এলার্জিজনিত কারণে তার হাতের ওপরের অংশ ফুলে গেছে বলে তদন্ত করে আমাকে জানিয়েছেন সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা।
এদিকে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে করোনা ভাইরাসের গণটিকা কর্মসূচী চলেছে। মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা থেকে সাতক্ষীরার ৮৭টি কেন্দ্রে করোনা ভাইরাসের প্রথম ডোজ টিকা দেওয়া শুরু হয়। গণটিকা কর্মসূচী চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। জেলায় দুইদিন ব্যাপী এই ক্যাম্পেইনে এক লাখ ২১ হাজার টিকা প্রদান করা হবে।
সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন ডা. মো. হুসাইন সাফায়াত জানান, ৭৮টি ইউনিয়ন পরিষদ ও সাতক্ষীরা পৌরসভার নয়টি ওয়ার্ডে এক লাখ ২১ হাজার করোনা ভাইরাসের প্রথম ডোজের টিকা দেওয়া হচ্ছে। প্রতিটি ইউনিয়নে ১৫০০ জন ও পৌরসভার প্রতিটি ওয়ার্ডে ৫০০ জনকে প্রথম ডোজের এই টিকা দেওয়া হবে। মঙ্গলবার ও বুধবার, এই দুই দিন ক্যাম্পেইন চলবে। যাদের রেজিষ্ট্রেশন করা রয়েছে তারাই কেন্দ্রে গিয়ে এই টিকা গ্রহণ করতে পারবেন।