হোম জাতীয় বিয়ের জন্য চাপ দেওয়ায় শরীফাকে গলা কেটে হত্যা

জাতীয় ডেস্ক :

প্রবাসী বন্ধুর দেওয়া দায়িত্ব পালন করতে গিয়েই তার স্ত্রী শরীফার সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে যান সুভাস মিয়া (৩৭)। উভয়ের মধ্যে শারীরিক সম্পর্কের এক পর্যায়ে বিয়ের চাপ দেন শরীফা। কিন্তু নিজের স্ত্রী সন্তানের কাছে অপরাধী না হতে হত্যার পরিকল্পনা করেন সুভাস। এরপর পরিকল্পনা অনুযায়ী সিঁধ কেটে মালয়েশিয়া প্রবাসী বন্ধু রিপন মিয়ার স্ত্রী শরীফাকে গলা কেটে হত্যা করেন সুভাস।

মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) দুপুরে তাকে আদালতে হাজির করা হলে এসব স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দেন সুভাস। নেত্রকোনা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা (ওসি) খন্দকার শাকের আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জেলা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার (২১ আগস্ট) সকালে খবর পেয়ে প্রবাসী রিপন মিয়ার স্ত্রী শরীফা আক্তারের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সদর উপজেলার মদনপুর ইউনিয়নের কাংসা গুচ্ছ গ্রামের নিজ ঘর থেকে মরদেহটি উদ্ধার হয়। এ ঘটনায় মৃতের বোন হীরামন ওরফে আঙ্গুরা বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

তদন্তে জানা যায়, মৃতের স্বামী রিপন মিয়া বিদেশ থাকায় তারই বন্ধু সুভাস মিয়ার দোকানে বিকাশের মাধ্যমে টাকা পাঠাতেন। এছাড়া নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি ক্রয় করে দেওয়ার সুবাদে রিপনের স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়া গড়ে ওঠে সুভাসের। এক পর্যায়ে শরীফা তাকে বিয়ের জন্য চাপ দিলে সুভাস নিজের স্ত্রী সন্তানের কথা ভেবে শরীফাকে হত্যা করে। পরে গত সোমবার (২৩ আগষ্ট) দুপুরে কাংসা বাজারস্থ দোকান ঘর থেকে সুভাসকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে আসামির স্বীকারোক্তি অনুযায়ী সুভাসের বাড়ির গোবরের গাদা থেকে হত্যায় ব্যবহৃত ছুরিটি আলামত হিসেবে জব্দ করে পুলিশ।

নেত্রকোনা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা (ওসি) খন্দকার শাকের আহমেদ জানান, নেত্রকোনা পুলিশ সুপার আকবর আলী মুনসীর তত্বাবধানে ও নির্দেশনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান জুয়েল, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোরশেদা খাতুনের সহযোগিতায় এস আই নাজমুল হুদা মামলার তদন্ত করেন।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন