কালিগঞ্জ (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি :
কালিগঞ্জ প্রেসক্লাবে হয়রানি মুলক মামলা প্রত্যাহার ও হুমকীর প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২৪ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১ টায় কালিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি শেখ সাইফুল বারী সফুর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সুকুমার দাশ বাচ্চুর সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন কালিগঞ্জ উপজেলার গোলখালী গ্রামের আনারুল গাজীর কন্যা মেহেরুননেছা মীম।
তিনি বলেন, আমার মামা আসলাম গাইন, ইসমাইল গাইন ও ফজর আলী গাইনের উপর প‚র্ব পরিকল্পিত ভাবে গত ২০/০৭/২০২১ তারিখ রাত ৮.৩০ মিনিটে অতর্কিত হামলা করে রক্তজমাট যখম করেছে পুলিশ সদস্য পরিচয়দানকারী কালিগঞ্জের দক্ষিন শ্রীপুর গ্রামের আকবর হোসেন গাজীর পুত্র আব্দুর রাজ্জাক (৩০), তার নেতৃত্বে লোকজন লোহার রড দিয়ে এলোপাতাড়ি আমার মামাদের মারপীট করে।
এসময় তাকে সহযোগীতা করে পুলিশ সদস্যের ভ্রাতা ফারুক হোসেন (৩৫), মাহফুজ হোসেন গাজী (২৫), নিজদেবপুর গ্রামের আব্দুল গফুরের পুত্র আব্দুল হাকিম (৩৪), রওশাদ আলীর পুত্র আব্দুর রহমান (৩৩)। তারা সকলেই বাসের লাঠি দিয়ে অতর্কিত ভাবে নিরস্ত্র মামাদের ব্যাপক মারধর করে রক্তপাত করে। এসময় আমার ব্যবসায়ী মামা ফজর আলীর কাছে থাকা ১ লক্ষ ৪৬ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেই।
অপর আসামীরা আমার বড় মামা আসলাম গাইনের কাছে থাকা নোকিয়া বাটন মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। সংঘবন্ধ চক্র প‚র্ব পরিকল্পিত ভাবে টাকা ও মোবাইল ছিনতাইয়ের পাশাপাশি সন্ত্রাসী স্টাইলে মামাদেরকে ভেধড়ক পিটিয়েছে। এ ঘটনায় আমার বড় মামা মারাত্মক অবস্থায় ঘটনাস্থলে পড়ে থাকে। ঘটনার সংবাদে আমি সহ মামাদের নিকটজনরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছায় এবং জখমীদের দ্রুত চিকিৎসা দিতে ব্যস্ত থাকি।
এদিকে ধুরন্দর আব্দুর রাজ্জাকের কু-পরামর্শে তার ভাই আসিফ অকবর অরফে ফারুক বাদী হয়ে ২০/০৭/২০২১ তারিখ রাতেই তাদের হামলায় যখমী ইসমাইল ও ফজর আলী মাামাসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে সম্পুর্ন মিথ্যা, একটি মামলা দায়ের করে, মামলা নং ২৩। পবিত্র ঈদের দিনেও আমার মামাদের পরিবারের সদস্যরা নিরানন্দ অবস্থায় নিরাপত্তাহীনতায় সময় অতিবাহিত করেছে।
আমার মামারা সেই থেকে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। আমার মামা ফজর আলী গাইন বাদী হয়ে গত ২৩/০৭/২০২১ তারিখে আব্দুর রাজ্জাক সহ টাকা ছিনতায় ও মারপিটের ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দিয়েছে। সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে আমি মাননীয় পুলিশ সুপার এর নিকট আবেদন করিতেছি যে, ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত ও মিথ্যা হয়রানী ও ষড়যন্ত্র ম‚লক মামলা প্রত্যাহার করার পাশাপাশি পুলিশ সদস্য পরিচয়ে আব্দুর রাজ্জাক হীন কর্মকান্ডের বিচার চাই।