যশোর প্রতিনিধি :
মণিরামপুরে ৩২ শিক্ষকের রমরমা কোচিং বাণিজ্য শিরোনামে বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হলে উপজেলার প্রশাসনের টনক নড়ে এবং ব্যাপক তোলপাড়ের সৃষ্টি হয়। এ ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশনা মোতাবেক উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ৩২ শিক্ষককে নোটিশ করলে রোববার বিকেল ৪টায় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে ২৯ জন শিক্ষক হাজির হয়ে তারা অঙ্গীকারনামা (মুচলেকা) দিয়েছেন।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বিকাশ চন্দ্র সরকার জানিয়েছেন, কোচিং বাণিজ্যর সাথে যুক্ত ৩২ জন শিক্ষককে মৌখিকভাবে নোটিশ করলে ২৯ জন শিক্ষক রোববার বিকেল ৪টার সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিতভাবে অঙ্গীকারনামা দিয়েছেন। দেশে করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত তারা দলবদ্ধভাবে শিক্ষার্থীদের নিয়ে কোচিং করাবেননা এ মর্মে অঙ্গীকারনামা দেন উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে। এরপর যদি কেউ কোচিং বাণিজ্যের সাথে যুক্ত হয় তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার সিদ্ধান হয়েছে।
জানা গেছে এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদককে কোচিং বাণিজ্যে জড়িত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করায় কেউ কেউ বিভিন্নভাবে হুমকি দিলেও অবশেষে আইনি রক্ষা পেতে উপজেলা প্রশাসনের নিকট মুচলেকা (অঙ্গীকার) প্রদান করতে হয়েছে। এদিকে প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে কোচিং বাণিজ্যের সাথে জড়িত থাকা মণিরামপুর সরকারি ডিগ্রী কলেজের ইংরেজি প্রভাষক মুস্তাফিজুর রহমান এবং গণিত প্রভাষক মশিয়ার রহমান উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে এদিন হাজির হননি। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সৈয়দ জাকির হাসান নিশ্চিত করে বলেন, ২৯ জন শিক্ষকের লিখিত অঙ্গীকারনামা নিয়ে প্রাথমিক পর্যায়ে ক্ষমা করা হয়েছে। সরকারিভাবে নির্দেশনা শিথিল না হওয়া পর্যন্ত যদি আর কেউ কোচিং বাণিজ্যের সাথে যুক্ত হন তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থ নেওয়া হবে।