মাগুরা অফিস :
মাগুরায় রাজু হত্যা মামলার রায়ে ৩ আসামীকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছে আদালত। আজ মঙ্গলবার দুপুরে মাগুরার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে এ রায় ঘোষণা করা হয়। এদিকে রায় ঘোষণা শেষে এজলাসের মধ্যে মামলার বাদীর ওপর সাজাপ্রাপ্ত আসামীদের স্বজনরা হামলা করে। সাজাপ্রাপ্ত আসামীরা হচ্ছে মাগুরার মহম্মদপুরের খালিয়া গ্রামের মৃত নুরুল হক লস্করের ছেলে আলতু লস্কর, মৃত আব্দুল মালেক মোল্যার ছেলে ইদ্রিস আলী মোল্যা ও মৃত আতাহারুল লস্করের ছেলে কাশেম লস্কর।
রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত পিপি মশিউর রহমান জানান, ২০০৫ সালের ৯ জানুয়ারি মহম্মদপুরের খালিয়া গ্রামের মাহাবুবুর রহমানের ছেলে রাজু আহমেদকে (২২) অর্থনৈতিক লেনদেন নিয়ে বিরোধের জের ধরে আসামীরা খালিয়া বাজারে কুপিয়ে হত্যা করে। ঘটনার দিন মহম্মদপুর থানায় খালিয়া গ্রামের আলতু লস্কর, হিরু লস্কর, ইদ্রিস আলী মোল্যা, কাশেম লস্কর ও আবু বক্কারের নামে হত্যা মামলা হয়। ওই বছর ২ মে তদন্তকারী কর্মকর্তা মামলার আসামী হিরু লস্কার মারা যাওয়ায় ও আবু বক্কারের তদন্তে অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের নাম বাদ দিয়ে ৩ আসামীর বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন।
পরবর্তিতে সাক্ষী জেরা শেষে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি বিচারক আজ মঙ্গলবার রায়ের জন্য দিন ধার্য্য করেন। রায়ে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ফারজানা ইয়াসমিন প্রত্যেক আসামীকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। মামলায় দন্ডপ্রাপ্ত আলতু লস্কর, কাশেম লস্কর হাজির থাকলেও অপর আসামী ইদ্রিস আলী মোল্যা পলাতক রয়েছে।
এদিকে, রায় ঘোষণা শেষে বিচারক এজলাস থেকে নামার সাথে সাথে দন্ডপ্রাপ্ত আসামীর স্বজনরা মামলার বাদীর ওপর হামলা করে। এসময় বাদী মাহাবুবুর রহমান অতিরিক্ত পিপি মশিউর রহমানের কাছে আশ্রয় নেয়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় আদালত চত্বরে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।
মাগুরা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জয়নাল আবেদীন জানান, খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। পরে আদালত থেকে বাদীকে নিরাপদে পুলিশ প্রহরায় তার বাড়িতে পৌঁছে দেয়া হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িতরা আগেই আদালত চত্বর থেকে বেরিয়ে যাওয়ায় কাউকে আটক করা যায়নি।
s