হোম অন্যান্যসারাদেশ দেবহাটার চরবালিথায় সরকারি প্রকল্প বাস্তবায়নে নিঃসম্বল হতে বসেছে ৩১ ভুমিহীন পরিবার

দেবহাটার চরবালিথায় সরকারি প্রকল্প বাস্তবায়নে নিঃসম্বল হতে বসেছে ৩১ ভুমিহীন পরিবার

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 111 ভিউজ

দেবহাটা প্রতিনিধি :

সাতক্ষীরার দেবহাটায় ভুমিহীনদের বন্দোবস্তকৃত ও বন্দোবস্তের প্রস্তাবনা প্রেরিত জমিতে সরকারী ‘জমি নেই, ঘর নেই’ প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে গিয়ে পথে বসতে চলেছে ৩১টি ভুমিহীন পরিবার।
ভুমিদস্যুদের কবল থেকে বহু হামলা, মামলা খেয়ে সাতক্ষীরা সদর ও দেবহাটার সীমান্তবর্তী চরবালিথা গ্রামের ওই জমি পুনরুদ্ধারের পর প্রায় ৩০ বছর যাবৎ সেখানে বসবাস, ভোগদখল করে আসলেও সম্প্রতি সরকারি প্রকল্প বাস্তবায়নে উচ্ছেদের মুখে পড়েছেন অসহায় খেটে খাওয়া ভুমিহীন পরিবার গুলো।

ভুমিহীন আব্দুর রাজ্জাক (৬০), আহাদ আলী (৫৭), মাহমুদ সরদার (৫৮), ইউনুস আলী (৬২), আবুল হোসেন (৭৫), নুরুন্নাহার (৪৫), মনোয়ারা (৫০) সহ ভুক্তভোগীরা জানান, সাজিয়া আফরীনের বদলীর পর ওই সরকারি জমি তাদেরকে চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত দেয়ার প্রক্রিয়া মুখ থুবড়ে পড়েছে। সেখানে ভোগদখলে থাকা ভুমিহীনদের অধিকাংশরাই কুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আসাদুল হকের সমর্থক হওয়ায় বর্তমান ভারপ্রাপ্ত প্যানেল চেয়ারম্যান আসাদুল ইসলাম তাদের ওই জমিতে অন্যদের পূর্নবাসন করাতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। সম্প্রতি জমি নেই, ঘর নেই প্রকল্পের জন্য যখনই সদ্য যোগদানকৃত উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাছলিমা আক্তার উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সরকারি খাস জমি খোঁজাখুজি শুরু করেন, ঠিক তখনই সুযোগ বুঝে ভারপ্রাপ্ত প্যানেল চেয়ারম্যান আসাদুল ইসলাম ওই সকল ভুমিহীনদের চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের প্রক্রিয়া চলমান খাস জমি কেড়ে নেয়ার পরামর্শ নির্বাহী অফিসারকে দিয়ে তাদেরকে উচ্ছেদের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বলেও অভিযোগ ভুক্তভোগী পরিবার গুলোর।

এমনকি একই এলাকায় পূর্নবাসনযোগ্য বিকল্প পতিত সরকারি খাস জমি থাকা স্বত্ত্বেও সেখানে জমি নেই, ঘর নেই প্রকল্পের আওতায় পূর্নবাসনের উদ্যোগ না নিয়ে বরং চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের প্রক্রিয়া চলমান ভুমিহীনদের বসবাসরত ও ভোগদখলীয় জমি থেকে উচ্ছেদের উদ্যোগ কতটুকু যুক্তিযুক্ত তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন ভুক্তভোগীরা। এসএম মোস্তফা কামালের কাছে দাবী জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
ভুমিহীনদের উচ্ছেদ প্রচেষ্টার অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে কুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত প্যানেল চেয়ারম্যান আসাদুল ইসলাম বলেন, সরকারি ওই জমিতে বসবাসরত ভুমিহীনরা সাবেক চেয়ারম্যানের সমর্থক এটা সত্যি, কিন্তু সেজন্য আমি তাদেরকে উচ্ছেদের চেষ্টা করছিনা। আমি ইউএনও স্যারের সাথে কয়েকবার জমি দেখতে সেখানে গিয়েছিলাম মাত্র।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন