হোম Uncategorizedবাংলাদেশ সু-সাহিত্যিক কাজী ইমদাদুল হকের ১৩৯তম জন্মজয়ন্তী

সু-সাহিত্যিক কাজী ইমদাদুল হকের ১৩৯তম জন্মজয়ন্তী

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 669 ভিউজ

 খুলনা অফিস :

৪ নভেম্বর বুধবার সু-সাহিত্যিক কাজী ইমদাদুল হকের ১৩৯তম জন্মজয়ন্তী। এ উপলক্ষে ঐতিহ্যবাহী পাইকগাছা শিব্সা সাহিত্য অঙ্গন এর উদ্যোগে আলোচনা সভা সহ বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। উল্লেখ্য, অসমাপ্ত আব্দুল্লাহ উপন্যাসের রচয়ীতা সু-সাহিত্যিক কাজী ইমদাদুল হক ১৮৮২ সালের ৪ নভেম্বর খুলনা জেলার পাইকগাছা উপজেলার গদাইপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা কাজী আতাউল হক পেশায় একজন আইনজীবী ছিলেন। ইমদাদুল হক ছিলেন পিতার একমাত্র সন্তান। তিনি ১৯০৩ সালে কলকাতার মাদ্রাসায় অস্থায়ী শিক্ষক পদে নিয়োগ লাভ করেন। এরপর তিনি ১৯০৬ সালে আসামে শিলংয়ে শিক্ষা বিভাগে উচ্চমান সহকারী পদে চাকুরি করেন। ১৯০৭ সালে ঢাকা মাদ্রাসার শিক্ষক পদে নিযুক্ত হন। তার ভুগোল শিক্ষার একটি আদর্শ শিক্ষা প্রণালী শিক্ষা বিভাগ কর্তৃক প্রকাশিত হয়। তিনি ভুগোল বিষয়ে গ্রন্থ রচনা করেন। তিনি ১৯১১ সালে ঢাকার টিচার্স ট্রেনিং সেন্টারে ভুগোলের অধ্যক্ষ নিযুক্ত হন। ১৯১৭ সালে কলকাতা টিচার্স ট্রেনিং স্কুলে প্রধান শিক্ষকের পদে নিয়োগ লাভ করেন। ১৯২১ সালে ঢাকা মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের প্রথম কর্মদক্ষ পদে নিযুক্ত হন। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত এ পদে তিনি বহাল ছিলেন। ইমদাদুল হক ১৯০৪ সালে খুলনা শহরে মৌলভী আব্দুল মকসুদ সাহেবের জৈষ্ঠ্য কন্যা সামসুন্নেসা খাতুনকে বিয়ে করেন। কাজী ইমদাদুল হকের ৫ পুত্র কাজী আনারুল হক, কাজী সামছুল হক, কাজী আলাউল হক, কাজী নুরুল হক, কাজী টুকু এবং ২ কন্যা জেবুন্নেছা ও লতিফুন্নেছা। কাজী ইমদাদুল হকের পুত্র কাজী আনারুল হক তৎকালীন শিক্ষা মন্ত্রী ছিলেন। শিক্ষা বিভাগে বিভিন্ন কাজে অসামান্য অবদান ও উদ্ভাবনী প্রতিভার স্বীকৃতি স্বরূপ তৎকালীন বৃটিশ সরকার কাজী ইমদাদুল হককে ১৯১৯ সালে খান সাহেব এবং ১৯২৬ সালে তাকে খান বাহাদুর উপাধীতে ভূষিত করেন। ইমদাদুল হকের স্মরণীয় সাহিত্যকর্ম তার একমাত্র উপন্যাস ‘আব্দুল্লাহ’। ১৯২৬ সালে কিডনী রোগে আক্রান্ত হয়ে ২০ মে ৪৪ বছর বয়সে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। কাজী ইমদাদুল হককে কলকাতার গোবরা কবরস্থানে তার মায়ের কবরের পাশে দাফন করা হয়। এদিকে ১৩৯তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আলোচনা সভা সহ নানা কর্মসূচির আয়োজন করেছেন বলে জানিয়েছেন শিব্সা সাহিত্য অঙ্গনের সভাপতি সুরাইয়া বানু ডলি।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন