হোম খুলনা পাইকগাছায় ১১০ বিঘা সরকারি খাস খাল বিলান দেখি আত্মসাতের চেষ্টা 

পাইকগাছায় ১১০ বিঘা সরকারি খাস খাল বিলান দেখি আত্মসাতের চেষ্টা 

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 67 ভিউজ
পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি :
খুলনার পাইকগাছায় সরকারি ৩৬.৪৫ একর প্রবহমান খাস খাল বিলান চাষাবাদের জমি দেখিয়ে জালিয়াতির মাধ্যমে ক্রয় করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিজেরা বাদী -বেবাদী হয়ে আদালতে মামলা করে রায় পেলেও পানি সরবরহের সরকারী  গেটের খাল হওয়ায় ১৬ টি গ্রামের জনগণ দখলে যেতে দেয়নি। সরকারী খাল হওয়া বিষয়টি জানার পর সরকারের পক্ষ থেকে খুলনা জেলা প্রশাসক এ বিষয় নিয়ে আদালতে দেঃ মামলা করেছে।
১৬ গ্রামের হাজারো মানুষ গণ স্বাক্ষর করে অবৈধ দখলদার নির্মল চন্দ্র মন্ডল ও মনোহর মন্ডলের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছে। নির্মল চন্দ্র মন্ডল ও মনোহর উপজেলার  রামচন্দ্র নগর  এবং নাবা গ্রামের মৃত অতুল কৃষ্ণ মন্ডলের ছেলে। নির্মল মন্ডল ও মনোহর মন্ডল এ জালিয়াতির কাজ করে। সম্প্রতি নির্মল ও মনোহার খালটি দখলে নেয়ার উদ্দেশ্যে খালের দু’মাথায় বাঁধ দেয়। এলাকাবাসী জানার পর শত শত এলাকাবাসী সে বাঁধ কেটে দিয়ে দখলবাজদের তাড়িয়ে দেয়।
অভিযোগ ও এলাকাবাসী সুত্রে জানাগেছে, উপজেলার কামারাবাদ ও ভৈরবঘাটা মৌজার ও ১৬ টি গ্রামের পানি সরবরাহের একমাত্র খাল এটি। যা বিলান জমি দেখিয়ে জাল জালিয়াতির কাগজ তৈরী করে সরকারের চোখ ফাঁখি দিয়ে  নিজেরা বাদী-বেবাদী হয়ে ১৯৮৬ সালে দেঃ মামলা করে ৯০ সালে রায় পান। সেখানে সরকারকে বিবাদী করা হয়নি।অথচ এখাল সরকারী এবং সরকারের নামে সর্বশেষ চুড়ান্ত রেকর্ড হয়েছে।
এখাল দিয়ে যেসব গ্রামের পানি সরবরাহ হয় তাহলো বারুইডাঙ্গা, শ্যামনগর, মালথ, কাজিমছা, নাবা, সলুয়া, প্রতাবকাটি, কামারাবাদসহ ১৬ গ্রাম। এই সকল খাল ও স্লুইসগেট জনগণের ব্যবহার্য সম্পদ। যার পরিমাণ ৩৬.৪৫ একর অর্থাৎ ১১০ বিঘা। এলাকার অনেকেই এখালে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করে। ১৬ টি গ্রামের   হাজার হাজার হাজার বিঘা জমির পানি এ খাল দিয়ে নিস্কাশিত হয়। কৃষি চাষাবাদ হয় এ খালের পানি দিয়ে।
খাসখাল উন্মুক্তের দাবিতে উপজেলার কপিলমুনি ইউপির কাজিমুছা গ্রামের মৃত এরফান আলী খা এর ছেলে মোঃ আশরাফ আলী খা বাদী হয়ে ও কপিলমুনি ইউপি চেয়ারম্যান, ৪ জন ইউপি সদস্যসহ প্রায় এক হাজার জনের স্বাক্ষরিত একটি অভিযোগ খুলনা জেলা প্রশাসক দপ্তরে দেয়া হয়েছে।
মালথ গ্রামের মজিদ মোড়ল বলেন,  খালটি যদি দখলবাজারা দখল করে নেয়ার কোন প্রকার অপচেষ্টা করে তাহলে সর্বসাধারণ আইন হাতে তুলে নিতে বাধ্য হবে। জালিয়াত বাজদের দ্রুত গ্রেপ্তার পুর্বক দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির দাবী করেন।
মালথ গ্রামের হারুন গাজী জানান, এলাকার চিহ্নিত জাল-জালিয়াতির হোতা নির্মল চন্দ্র মন্ডল ও মনোহর খাস খালটি দখল করার চেষ্টা করছে।
ইউপি সদস্য আলাউদ্দিন জানান, আমি ছোট বেলা থেকে দেখছি এখালটি উন্মুক্ত।  ঐখাল দিয়ে অনন্ত ১৪/১৫ গ্রামের পানি সরবরাহ করে। সরকার ও ইউনিয়ন পরিষদ এখাল কখনো ইজারাও দেয়নি। এখন কিছু জালিয়াত চক্র এটি দখলে নেয়ার পায়তারা করছে।
নির্মল মন্ডল জানান, আমরা আদালতের রায় পেয়ে জমিতে বাধ দিয়ে মৎস চাষ করতে গিয়েছি।
এ বিষয়ে সহকারী কমিশনার (ভুমি) ইফতেখারুল ইসলাম শামীম জানান,  এরমধ্যে বহুল আলোচিত নাছিরপুর খাল অবমুক্ত করেছি। এটাও তদন্ত করে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে। সরকারি খাল কেউ অবৈধ ভাবে দখলে রাখতে পারবেনা।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন