আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে অভিযানের পরবর্তী পর্যায়ে মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে হামলা চালাতে পারে ইরান। শনিবার (১৪ জুন) দেশটির একজন জ্যেষ্ঠ সামরিক সূত্রের বরাত দিয়ে ফার্স নিউজ এজেন্সি এ তথ্য জানিয়েছে।
সূত্রটি জানিয়েছে, ‘ইহুদিবাদী শাসনব্যবস্থা (ইসরায়েল) আগ্রাসনের মাধ্যমে যে যুদ্ধ শুরু করেছে, তা আগামী দিনে এই শাসনব্যবস্থার দখলকৃত সমস্ত অঞ্চল এবং এই অঞ্চলে অবস্থিত আমেরিকান ঘাঁটিতে ছড়িয়ে পড়বে। আক্রমণকারীরা ইরানের একটি নির্ণায়ক এবং বৃহৎ আকারের প্রতিশোধমূলক হামলার লক্ষ্যবস্তু হবে।’
ইরানের জ্যেষ্ঠ সামরিক সূত্র আরও বলেন, গত রাতের কাজের মাধ্যমে এই সংঘাত শেষ হবে না। ইরান হামলা চালিয়ে যাবে। এই কর্মকাণ্ড আক্রমণকারীদের জন্য খুবই বেদনাদায়ক হবে এবং তাদের কৃতকর্মের জন্য অনুতপ্ত করবে।
রুশ বার্তা সংস্থা তাস জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র সারা বিশ্বে ১ হাজার সামরিক ঘাঁটির নেটওয়ার্ক নিয়ে গর্ব করে। ৮০টিরও বেশি দেশে কমপক্ষে ১ লাখ ৭০ হাজার সেনাও রয়েছে তাদের। মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন সামরিক ঘাঁটি এবং স্থাপনাগুলো মূলত বাহরাইন, জর্ডান, ইরাক, কাতার, কুয়েত, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ওমান, সৌদি আরব এবং সিরিয়ায় অবস্থিত।
ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির বিরুদ্ধে ইসরায়েলি আক্রমণের পর প্রতিক্রিয়া হিসেবে শুক্রবার রাতে ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। ইরান তাদের অভিযানের সাংকেতিক নাম দিয়েছে ‘ট্রু প্রমিজ ৩’।
দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি জাতির উদ্দেশ্যে টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক ভাষণে বলেছেন, ইসরায়েলি নেতৃত্ব ইরানের বিরুদ্ধে ‘যুদ্ধ শুরু করেছে’, তাই ইরান ইসরায়েলকে অক্ষত থাকতে দেবে না এবং দেশটিকে তার কৃতকর্মের জন্য অনুতপ্ত করতে ‘সর্বশক্তি প্রয়োগ’ করবে।
ইসলামিক রেভোলিউশনারি গার্ড কর্পসের কমান্ডার-ইন-চিফের উপদেষ্টা জেনারেল আহমেদ ওয়াহিদি বলেছেন, যতক্ষণ প্রয়োজন ততক্ষণ ইরানের প্রতিশোধমূলক অভিযান অব্যাহত থাকবে।