হোম জাতীয় হাসিনা-পুতুলসহ পেছালো ১৮ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তার প্রতিবেদন

হাসিনা-পুতুলসহ পেছালো ১৮ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তার প্রতিবেদন

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 14 ভিউজ

অনলাইন ডেস্ক:
রাজউকের পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে প্লট বরাদ্দে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারসংক্রান্ত প্রতিবেদন জমার তারিখ পিছিয়েছে।

রোববার (৪ মে) ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিবের আদালতে পুলিশ ওই প্রতিবেদন জমা দিতে না পারায় নতুন তারিখ ধার্য করেন বিচারক। আগামী ১৮ মে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন জমার জন্য দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সহকারী পরিচালক ও আদালতের প্রসিকিউশন বিভাগের কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম।

এর আগে গত ১০ এপ্রিল, পূর্বাচল প্রকল্পে ছয়টি প্লট বরাদ্দে অনিয়মের অভিযোগে দায়ের করা মামলাটি আমলে নিয়ে আদালত ১৮ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।

গ্রেপ্তারি পরোয়ানা পাওয়া বাকি আসামিরা হলেন—গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম সরকার, জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব পুরবী গোলদার, অতিরিক্ত সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন, সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার, রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যানের পিএ মো. আনিছুর রহমান মিঞা, রাজউকের সাবেক সদস্য মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, কবির আল আসাদ, তন্ময় দাস, মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন, অবসরপ্রাপ্ত মেজর (ইঞ্জি.) সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী, মো. নুরুল ইসলাম, পরিচালক শেখ শাহিনুল ইসলাম, উপপরিচালক মো. হাফিজুর রহমান, হাবিবুর রহমান, মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন এবং শরীফ আহমেদ।

২০২৪ সালের ৫ আগস্ট গণ-আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতা ছাড়ে। ওই দিনই তিনি ভারতে চলে যান। তার পরিবারের সদস্যরাও দেশ ছেড়ে চলে যান।

এরপর পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে প্লট বরাদ্দ সংক্রান্ত অনিয়মের অভিযোগে দুদক তদন্ত শুরু করে। ছয়টি পৃথক মামলার মধ্যে পুতুলের বিরুদ্ধে মামলা হয় চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি।

দুদকের সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া ওই মামলাটি দায়ের করেন দণ্ডবিধির ১৬১, ১৬৩, ১৬৪, ৪০৯ ও ১০৯ ধারার পাশাপাশি দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭-এর ৫(২) ধারায়।

এজাহারে বলা হয়, পুতুল বা তার পরিবারের নামে ঢাকায় রাজউকের অধীন আবাসন সুবিধা থাকা সত্ত্বেও, তিনি তা গোপন করে পূর্বাচলের ২৭ নম্বর সেক্টরের একটি প্লটের বরাদ্দ নেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতার অপব্যবহার করে এ বরাদ্দে প্রভাব খাটান।

দুদকের অভিযোগে আরও বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে পুতুলের নামে প্লট বরাদ্দ দিয়ে নিজেদের এবং অন্যদের লাভবান করেছেন। এতে ঘুষ লেনদেনের অভিযোগও রয়েছে।

মামলাটি তদন্ত শেষে গত ১০ মার্চ অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা আফনান জান্নাত কেয়া। শুরুতে ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা হলেও অভিযোগপত্রে আরও দুজনের নাম যুক্ত করে মোট ১৮ জনকে অভিযুক্ত করা হয়।

এছাড়া শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে করা ছয় মামলার সবকটিতেই অভিযোগপত্র জমা দিয়েছে দুদক। এসব মামলায় তার সঙ্গে ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, বোন শেখ রেহানা, ভাগ্নি ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ সিদ্দিক, আজমিনা সিদ্দিক রূপন্তী ও ভাগ্নে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিকের নামও আসামির তালিকায় রয়েছে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন