অনলাইন ডেস্ক:
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হবে কি না বা নির্বাচনে অংশ নেবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ওই যে ঐকমত্য। আমরা বরাবরই ফিরে যাচ্ছি ঐকমত্যে। সবাই মিলে যা ঠিক করবে, আমরা তাই করব।
সম্প্রতি বিবিসি বাংলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন তিনি। সোমবার (৩ মার্চ) সাক্ষাৎকারটি প্রকাশ করেছে বিভিন্ন গণমাধ্যম।
আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতভেদ দেখা গেছে, বিভিন্ন জন বিভিন্ন কথা বলছেন। এটা নিয়ে আপনার অবস্থানটা কী? এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ওই যে ঐকমত্য। আমরা বরাবরই ফিরে যাচ্ছি ঐকমত্যে। সবাই মিলে যা ঠিক করবে আমরা তাই করব।
আওয়ামী লীগ কি নিষিদ্ধ হবে বা রাজনীতি করবে কিনা নির্বাচনে অংশ নেবে কি না এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি আরও বলেন, আমি অত ডিটেইলসে যাচ্ছি না। আমার বরাবরই পজিশন হলো যে, আমরা সবাই এ দেশের নাগরিক। আমাদের এ দেশের ওপরে সবার সমান অধিকার আছে। আমরা সব ভাই ভাই। আমাদেরকে এ দেশেই বাঁচতে হবে। এ দেশকেই বড় করতে হবে। কাজেই যে মত-দল করবে, তার মতো করে, সবকিছু করবে। এই দেশ থেকে কারও অধিকার কেড়ে নেয়ার কোনো উপায় নাই। কিন্তু যে অন্যায় করেছে, যার বিচার হওয়া উচিৎ, তার বিচার হতে হবে। এটুকুই শুধু।
এক-এগারোর সময় আপনি যে একটা রাজনৈতিক দল গঠন করেছিলেন, সেটা নিয়ে কথা হচ্ছিলো এবং আপনি বলেছিলেন যে, আপনার রাজনীতিতে আসাটা ভুল হয়েছে। এখন আপনি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক পদে রয়েছেন। এখন আপনার কী মূল্যায়ন? এখানে আসা কি আপনার সঠিক হয়েছে নাকি এখনই বিচার করতে চান না।
সাংবাদিকের এ প্রশ্নে তিনি বলেন, না, বিচার করব। প্রথম কথা হলো আমি রাজনৈতিক দল গঠন করি নাই। গঠন করার কথা বলেছিলাম এবং ১০ সপ্তাহ যাবৎ এই কথা জারি ছিল। ১০ সপ্তাহ পর আমি বলেছি-না, আমি রাজনীতিতে যাব না।
আমি বলেছি যে, পলিটিক্স ইজ নট মাই কাপ অফ টি এবং ওটা ওখানেই সমাপ্ত। এরপর আমাকে রাজনীতির কাছে কেউ টানতে পারেনি। সবাই চেষ্টা করেছে দেশের নেতৃত্ব নেন, আপনি প্রধানমন্ত্রী হন। সবাই চেষ্টা করেছে। আমি ওটা চাই নাই। আমি বলেছি, ওই চ্যাপ্টার শেষ। এ ১০ সপ্তাহ-দ্যাটস এনাফ। কাজেই ওইভাবেই আছি এখন। এখানে আমি রাজনীতিতে যাওয়ার কোনো সম্ভাবনা নাই। রাজনীতি করিও না।
কিন্তু সরকারপ্রধান একটা রাজনৈতিক পদ -এর উত্তরে প্রধান উপদেষ্টা আবারও বলেন, এটা টেকনিক্যালি হলে হবে। আমি তো এ পদে আসতেও চাই নাই। আমাকে অনুরোধ করেছে, বহুবারই করেছে। তারপর আমি শেষ পর্যন্ত সম্মত হয়েছি। সেটার দায়িত্ব নিয়েছি। রাজনৈতিক পদ যদি হয়ে থাকে, এটা বাই ডেফিনেশন। আমি রাজনীতি করি না।