হোম আন্তর্জাতিক আবারও বাংলাদেশকে পুরো বিদ্যুৎ সরবরাহ করবে আদানি

আবারও বাংলাদেশকে পুরো বিদ্যুৎ সরবরাহ করবে আদানি

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 21 ভিউজ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
বাংলাদেশের চাওয়া অনুযায়ী, ঝাড়খণ্ড কেন্দ্রের সক্ষমতার পুরো ১৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহে রাজি হয়েছে আদানি পাওয়ার। তবে ঢাকার করছাড় ও মূল্যছাড় সুবিধার অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেছে তারা। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

শীত মৌসুমে চাহিদা কম থাকা ও বকেয়া পরিশোধ নিয়ে সৃষ্ট জটিলতায় সাড়ে তিন মাসের বেশি সময় ধরে চুক্তির অর্ধেক পরিমাণ বিদ্যুৎ সরবরাহ করছিল আদানি পাওয়ার। তারা ভারতের পূর্বাঞ্চলে ঝাড়খণ্ডের কয়লাভিত্তিক কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য ২০১৭ সালে বাংলাদেশের সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে।

১৬০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার ওই কেন্দ্রের দুটি ইউনিট থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ করছিল আদানি। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ৮৫ কোটি ডলারের বকেয়া আদায়ে গত ৩১ অক্টোবর বিদ্যুৎ সরবরাহ অর্ধেক করে দেয় এই ভারতীয় কোম্পানি।

রয়টার্স লিখেছে, ১ নভেম্বর একটি ইউনিট বন্ধ করে দেওয়া হলে কেন্দ্রের সক্ষমতার ৪২ শতাংশ বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছিল। পরে বাংলাদেশও আদানিকে অর্ধেক বিদ্যুৎই সরবরাহ করতে বলে। তবে গ্রীষ্ম শুরুর আগে ঝাড়খণ্ড কেন্দ্রের পুরো ১৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহে সম্প্রতি আদানি পাওয়ারকে অনুরোধ করে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি)।

সেই অনুরোধে সাড়া দিয়ে আগামী সপ্তাহ নাগাদ সক্ষমতার পুরো বিদ্যুৎ দিতে আদানি রাজি হয়েছে বলে রয়টার্সকে জানিয়েছেন দুটি সূত্র।

সূত্র দুটি আরও বলেছে, বিদ্যুৎ সরবরাহের বিষয়ে রাজি হলেও আদানি পাওয়ার বাংলাদেশের অন্যান্য অনুরোধ মানতে রাজি হয়নি। গত মঙ্গলবার আদানি পাওয়ারের সঙ্গে ভার্চ্যুয়াল বৈঠক করে বিপিডিবি।

আদানি পাওয়ার গত বছরের মে মাস পর্যন্ত ওই মূল্যছাড় সুবিধা বাংলাদেশকে দিয়েছিল, যাতে বাংলাদেশের প্রায় ১৩ মিলিয়ন ডলার সাশ্রয় হয়। কিন্তু এখন তারা তাতে রাজি নয়। আর এ মতানৈক্যের বিষয়ে রয়টার্স জানতে চাইলে পিডিবি চেয়ারম্যান রেজাউল করিম তাতে সাড়া দেননি।বরং গত সপ্তাহে তিনি বলেছিলেন, এখন আদানির সঙ্গে বড় কোনো ঝামেলা নেই। তারা সক্ষমতার পুরো বিদ্যুৎ সরবরাহ করবে। এখন প্রতি মাসে সাড়ে আট কোটি ডলার পরিশোধ করা হচ্ছে।এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি আদানি পাওয়ারের একজন মুখপাত্রও।

গত ডিসেম্বর মাসে আদানি পাওয়ারের মুখপাত্র বলেছিলেন, বিপিডিবির কাছে তাঁদের পাওনা প্রায় ৯০ কোটি ডলার; যদিও মো. রেজাউল করিম তখন বলেছিলেন, এই অঙ্ক ৬৫ কোটি ডলার। মতভিন্নতার মূল কারণ হলো বিদ্যুতের শুল্ক হিসাবের পদ্ধতি।

এর আগে বিপিডিবি আদানি পাওয়ারের কাছে কয়েক লাখ ডলারের কর–সুবিধা এবং গত বছরের মে মাস পর্যন্ত যে ছাড় ছিল, তা পুনর্বহাল চেয়ে চিঠি দিয়েছিল।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন