অনলাইন ডেস্ক:
পুলিশের এলিট ফোর্স র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) বিরুদ্ধে যেসব গুম-খুনের অভিযোগে ক্ষমা চাইলেন র্যাবের মহাপরিচালক অতিরিক্ত আইজিপি এ কে এম শহিদুর রহমান। তার কথায়, ‘র্যাবের বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগ আছে গুম ও খুনের। নারায়ণগঞ্জের সাত খুনসহ সেসব বিষয়ে সবার কাছে ক্ষমা চাইছি।’
বৃহস্পতিবার ( ১২ ডিসেম্বর) দুপুরে কাওরানবাজার র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
এসময় তিনি বলেন, সব কিছু সুষ্ঠু বিচারের মাধ্যমে আমরা দায়মুক্ত হতে চাই। আমি যতদিন দায়িত্ব পালন করবো, কারও নির্দেশে এসব অপরাধে র্যাব আর জড়িত হবে না— সেটি আমি নিশ্চয়তা দিচ্ছি।
এদিন র্যাব মহাপরিচালক আরও জানান, ‘র্যাবে আয়নাঘরের বিষয়ে তদন্ত চলছে। হেলিকপ্টার থেকে গুলির বিষয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল তদন্ত করছে। তদন্তে সব ধরনের সহায়তা করা হচ্ছে।
বর্তমানে দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন হয়েছে, তবে প্রত্যাশিত জায়গায় এখনও পৌঁছায়নি উল্লেখ করে র্যাব ডিজি বলেন, আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে র্যাব তার দায়িত্ব আন্তরিকতা সঙ্গে নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করবে।
র্যাব মহাপরিচালক বলেন, ৫ আগস্টের পর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটে। পরে র্যাবের সদস্যরা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাজ শুরু করে।
এ কাজ করতে গিয়ে র্যাবের ১৬ জন সদস্য বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে। তাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, মাদক ও ছিনতাইয়ের অভিযোগ পাওয়া যায়।
তিনি আরও বলেন, প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে র্যাবের ৫৮ জন কর্মকর্তা ও ৪ হাজার ২৪৬ সদস্যকে বিভিন্ন অপরাধে শাস্তির আওতায় আনা হয়েছে।
র্যাব মহাপরিচালক বলেন, ৫ আগস্টের পর আমাদের কিছু চ্যালেঞ্জ ছিল। আনসার বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে বিদ্রোহ, গার্মেন্টস সেক্টরে অস্থিতিশীলতা, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে কর্মবিরতিসহ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করে যাচ্ছে র্যাব।