পরেশ দেবনাথ:
কুষ্টিয়ায় পিএফজি’র অগ্রগতি পর্যালোচনা ও পরিকল্পনা প্রণয়ন সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর- ২৪) কুষ্টিয়া সদর উপজেলার পাবলিক লাইব্রেরির হলরুমে (চায়না গার্ডেন রেষ্টুরেন্টে) পিস ফ্যাসিলিটেটর গ্রুপ (পিএফজি) এর উদ্যোগে এবং দি হাঙ্গার প্রজেক্ট- বাংলাদেশের মাল্টি স্টেকহোল্ডার ইনিশিয়েটিভ (MIPS) প্রকল্পের সহযোগিতায় অগ্রগতি পর্যালোচনা ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা প্রণয়নের ওই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন, পিএফজি কো-অর্ডিনেটর এবং মালিথা ফাউন্ডেশন এর প্রধান নির্বাহী অধ্যাপক মোঃ শফিকুল ইসলাম এবং সঞ্চালনা করেন পিস অ্যাম্বাসেডর ও বর্ণমালা পাঠাগার কুষ্টিয়া এর সভাপতি অধ্যাপক আব্দুল মান্নান বাদশা।
সভায় উপস্থিত ছিলেন, পিস আ্যাম্বাসেডর একরামুল হক, বনানি বিশ্বাস, বিএনপির নেতা ও পৌর সাবেক কাউন্সিলর আতাউল গনি ওসমান, মিরাজুল ইসলাম রেন্টু, জাসাস সভাপতি ইমরান হোসেন সঞ্জু, সুজনের জেলা সভাপতি ও পিএফজি সিনিয়র সদস্য অধ্যাপক আবু হেনা মুহাম্মদ গোলাম রসুল বাবলু, সাবেক প্যানেল মেয়র আফরিদা আফরিন রেখা, জাতীয় পার্টি নেত্রী ও সাবেক কাউন্সিল রিনা নাসরিন, ওয়ার্কাস পার্টির সভাপতি এসরারুল হক, ধর্মীয় নেতা মোঃশরিফুজ্জামান, অধ্যাপক গোলাম ফারুক, রত্না, হিরা-পারভেজ প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শামীমা আক্তার, সংস্কৃতি কর্মী শিল্পী মামুন ডিজাইন, অধ্যাপক পারভীন আক্তার লাভলী, অধ্যাপক শাদিয়া ফারজানা মহুয়া, যুব নেতা গোলাম মওলা, সাংবাদিক রেজাউল করিম রেজা, ওয়াইপিএজি কো-অর্ডিনেটর সাদিক হাসান রহিদসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক ব্যক্তিবর্গ। সভায় শান্তি স্থাপন, সহিংসতা নিরসন এবং সামাজিক সম্প্রীতির প্রচেষ্টার উপর ভিত্তি করে পিএফজির কার্যক্রমের অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হয়। অংশগ্রহণকারীরা প্রতিটি ইউনিয়নভিত্তিক কার্যক্রম পরিচালনার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
সভায় সামাজিক সম্প্রীতি বজায় রাখতে রাজনৈতিক সহিংসতায় মাদকের কুফল ও প্রতিকার বিষয়ে, হরিজন পল্লির নৃগোষ্ঠিগত সমস্যা সমাধানকল্পে, যুব সমাজের সচেতনতা বৃদ্ধি প্রসঙ্গে এবং স্থানীয় পর্যায়ে শান্তি সমাবেশ আয়োজনের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। এছাড়া প্রয়োজন অনুপাতে রাজনৈতিক, ধর্মীয় ও নৃগোষ্ঠীগত সহিংসতা নিরসনে দলমত নির্বিশেষে সকলকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করার কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়। সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন, এমআইপিএস প্রকল্পের ফিল্ড কো-অর্ডিনেটর মোঃ আশরাফুজ্জামান। এ সভাটি কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় শান্তি ও সম্প্রীতির পরিবেশ গড়ে তোলার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে প্রশংসিত হয়েছে।