হোম জাতীয় এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় স্থানীয় শিল্পের সক্ষমতা বাড়ানোর তাগিদ

এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় স্থানীয় শিল্পের সক্ষমতা বাড়ানোর তাগিদ

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 73 ভিউজ

জাতীয় ডেস্ক:

এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন বা উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের ফলে যেমন নতুন সুযোগের দ্বার উন্মোচিত হবে, তেমনি চলমান স্বল্পোন্নত দেশের অনেক সুযোগ-সুবিধা কমে আসবে বাংলাদেশের। এরূপ পরিস্থিতিতে প্রধান রফতানি পণ্য তৈরি পোশাক ও অন্যান্য শিল্পপণ্যের বাজার সমুন্নত রাখার পাশাপাশি স্থানীয় শিল্পের আন্তর্জাতিক বাজারে টিকে থাকার সক্ষমতা বাড়নোয় কাজ করা জরুরি বলে মনে করেন ব্যবসায়ীরা।

সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন বিষয়ক বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) স্ট্যান্ডিং কমিটির প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান ও পলিসি এক্সচেঞ্জ অব বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ও এফবিসিসিআইয়ের প্যানেল উপদেষ্টা ড. মাসরুর রিয়াজ।

সভায় ব্যবসায়ীরা বলেন, উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের ফলে দেশের ভাবমূর্তি বৃদ্ধি পাবে, যা বৈদেশিক বিনিয়োগ বৃদ্ধি, আন্তর্জাতিক সুবিধাসহ বেশকিছু সুযোগের দ্বার উন্মোচন হবে। এতে দেশের অর্থনীতি আরও এগিয়ে যাবে। তবে এলডিসি উত্তরণের মূল চ্যালেঞ্জ বেসরকারি খাতের। আর সব থেকে বেশি চ্যালেঞ্জ রফতানি খাতে।

দেশীয় শিল্প তথা এসএমই খাতও এ চ্যালেঞ্জের বাইরে থাকবে না জানিয়ে ব্যবসায়ীরা বলেন, স্বল্পোন্নত দেশের সকল সুযোগ-সুবিধা কমে আসবে। বিশেষ করে সরকার প্রদত্ত নগদ ও রফতানি প্রণোদনা, ট্যারিফ স্ট্রাকচার কমিয়ে আনতে হবে। এ পরিস্থিতিতে প্রধান রফতানি পণ্য তৈরি পোশাক ও অন্যান্য শিল্পপণ্যের বাজার সমুন্নত রাখতে এখনই প্রস্তুতি নিতে হবে। একই সঙ্গে স্থানীয় শিল্পগুলোকেও আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার সক্ষমতা বাড়াতে হবে।

অপরদিকে সরকারকে ব্যবসায়িক খরচ কমিয়ে আনতে ওয়ানস্টপ সার্ভিস, ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ স্থাপনে বিশেষ প্রণোদনা ও উৎসাহ প্রদান, প্রযুক্তি হস্তান্তরে বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণের অনুকূল পরিবেশ তৈরি, বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বহুমুখী পণ্য উৎপাদনে আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর শিল্প স্থাপনে ভূমি, ইউটিলিটিসহ অন্যান্য নীতিগত সুবিধা সহজলভ্য করা, শিল্পভিত্তিক দক্ষ জনশক্তি তৈরি, লজিস্টিক সাপোর্ট, বন্দর ব্যবস্থাপনার উন্নতকরণ, আন্তর্জাতিক মানের ল্যাব স্থাপন ইত্যাদি বিষয়ে বেসরকারি খাতকে প্রয়োজনীয় সহায়তা নিশ্চিত করতে হবে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

কমিটির ডিরেক্টর ইন-চার্জ আবুল কাসেম খান বলেন, অনেক দেশ এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন করেছে, আমরাও পারব। সরকারও এ বিষয়ে ব্যাপক গুরুত্ব দিচ্ছে। তবে বাংলাদেশের রফতানির ক্ষেত্র অনেক সীমিত এবং এটি একটি বড় চ্যালেঞ্জ।

কমিটির চেয়ারম্যান ড. মাসরুর রিয়াজ বলেন, এলডিসি উত্তরণের ফলে সম্মান অর্জনের পাশাপাশি বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সম্পর্ক তৈরি হবে। তবে এ রূপান্তরের কারণে সহজ ছাড়গুলি বন্ধ, ডেভেলপমেন্ট ফাইন্যান্সিং বা উন্নয়ন অর্থায়ন আরও ব্যয়সাধ্যসহ বিভিন্ন শর্ত সামনে আসবে। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সকলকে নিয়ে এগোতে হবে।

আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে টিকে থাকার সক্ষমতা বাড়ানোর ওপর জোর দেন এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক সো. সাইফুল ইসলাম। তিনি বলেন, এ জন্য স্বল্পমূল্যে অর্থায়ন, ইজ অব ডুয়িং বিজনেসসহ রফতানি প্রবৃদ্ধিতে কাজ করতে হবে।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই সহসভাপতি মো. মুনির হোসেন, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের সাবেক সদস্য ও এফবিসিসিআইয়ের প্যানেল উপদেষ্টা ড. মোস্তফা আবেদ খান, এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক সৈয়দ মো. বকতিয়ার, মহাসচিব মো. আলমগীর প্রমুখ।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন