হোম খুলনাসাতক্ষীরা ১৪ ফেব্রুয়ারী সুন্দরবন দিবস হিসেবে জাতীয় ভাবে স্বীকৃতির দাবিতে সাতক্ষীরায় র‌্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

১৪ ফেব্রুয়ারী সুন্দরবন দিবস হিসেবে জাতীয় ভাবে স্বীকৃতির দাবিতে সাতক্ষীরায় র‌্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 65 ভিউজ

নিজস্ব প্রতিনিধি :

“বিশ্ব ভালবাসা দিবসে সুন্দরবনকে ভাল বাসুন, প্লাস্টিক ও পলিথিন মুক্ত সুন্দরবন জনপদ গড়ে তুলুন” এই প্রতিপাদ্যে সাতক্ষীরায় ১৪ ফেব্রুয়ারী সুন্দরবন দিবস হিসেবে জাতীয় ভাবে স্বীকৃতির দাবিতে র‌্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সুন্দরবন একাডেমীর সহায়তায় বুধবার সকালে শহরের মিনি মার্কেট থেকে এ উপলক্ষে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে ম্যানগ্রোভ সভাঘরে অনুষ্ঠিত আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যন আলহাজ্ব মোঃ নজরুল ইসলাম। ।

সুন্দরবন দিবস পালন আয়োজক কমিটির আহবায়ক কল্যাণ ব্যানার্জির সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব মাধব চন্দ্র দত্তের পরিচালনায় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, বিশিষ্ট্য শিক্ষানুরাগী প্রফেসর আব্দুল হামিদ, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি মমতাজ আহমেদ বাপি, জেলা নাগরিক কমিটির সভাপতি অ্যাড. আজাদ হোসেন বেলাল, বীরমুক্তিযোদ্ধা সাবেক অধ্যক্ষ ওয়াহেদুজ্জামান, টিআইবি সনাক সভাপতি হেনরী সরদার প্রমুখ।

আলোচনা সভায় বক্তারা বলেছেন, সুন্দরবন বাংলাদেশের উপক‚লীয় এলাকায় বসবাসরত মানুষকে প্রাকৃতিক দূর্যোগ থেকে মায়ের মতো আগলে রেখে রক্ষা করে। সুন্দরবন বাংলাদেশ তথা ধরিত্রী রক্ষায় অন্যতম রক্ষাকবর হিসেবে কাজ করে। সুন্দরবন আমাদের জাতীয় সম্পদ। এটি এখন বিশ্বঐতিহ্য। বিশ্বের বুকে বাংলাদেশকে আলাদা করে চিহ্নিত করা যায়। দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলকে প্রাকৃতিক দুর্যোগের হাত থেকে আগলে রেখেছে সুন্দরবন। অনেকটা মায়ের কোলে একটি শিশু যেমন পরম নিশ্চিন্তে ঘুমিয়ে থাকে তেমনি দক্ষিণ-পশ্চিমা লের এক বিরাট এলাকা সুন্দরবনকে অবলম্বন করে নিরাপদ রয়েছে। বিগত ২০০১ সালে খুলনায় অনুষ্ঠিত হয় ১ম জাতীয় সুন্দরবন সম্মেলন। সম্মেলনটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছিলেন, সেই সময়ের রাষ্ট্রপতি বিচারপতি সাহাবুদ্দিন আহমেদ। সেই থেকে ১৪ ফেব্রুয়ারিকে সুন্দরবন দিবস হিসেবে পালন করা হয়। বক্তারা আরও বলেন, সুন্দরবন শুধুমাত্র পৃথিবীর একক বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বনই নয়, বিশ্বে সুন্দরবনের মত এত সমৃদ্ধ জীববৈচিত্র্য আর কোন বনে নেই। এই জন্যই সুন্দরবনকে বলা হয় ‘জীববৈচিত্র্যের জীবন্ত পাঠশালা’। সুন্দরবন সংলগ্ন এলাকায় শিল্প স্থাপনা নির্মাণ বন্ধ করতে হবে। সুন্দরবনের উপর নির্ভরশীল মানুষকে সচেতন করতে হবে। সুন্দরবন বিষয়ক মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা করতে হবে। সুন্দরবন ভ্রমণে আগ্রহী ভ্রমণ পিপাসুদের জন্য ইকো টুরিজম নিশ্চিত করতে হবে। যথেচ্ছভাবে সুন্দরবনে গমনাগম বন্ধ করতে হবে। বক্তারা এ সময় ১৪ ফেব্রুয়ারীকে সুন্দরবন দিবস হিসেবে জাতীয় ভাবে স্বীকৃতি দেয়ার আহবান জানান।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন